ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের বেহাল দশা, সেবা পেতে ভোগান্তি

দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৪, ০৫:৪৮ পিএম

খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলার ৩নং কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ ও ৫নং বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদ পুরাতন আমলে ১৯৮৪ সালের মডেলের ভবনে নাগরিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এতে করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিক সেবা পেতে অনেক সময় লাগছে। চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বসার আলাদা কক্ষ না থাকায় এক কক্ষে বসে অফিস করতে হয়। সম্মেলন কক্ষ ছোট পরিসরে হওয়ার ছোট করে করতে হয় সভা সমাবেশ। এতে করে নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলেন মনে করেন স্থায়ী জনগণ। স্থানীয় জনগণের সময়ের দাবি দ্রুত নতুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্মাণ করা হউক।  

৩নং কবাখালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নলেজ চাকমা বলেন, ১৯৮৪ সালের মডেলে তৈরি ইউনিয়ন পরিষদটি ৪০ বছর হয়ে গেছে। টিনের চাল হওয়া অনেক বার সংস্কার করা হয়েছে। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে। সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দায়িত্ব থাকাকালীন সময় ইউনিয়ন পরিষদের জন্য বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের কাছাকাছি ৩০ শতক জায়গা ক্রয় করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে পরিষদের জন্য ক্রয় করা নতুন জায়গাটি জরিপ করে মাপযোগ করে নেয়া হয়েছে। দ্রুত নতুন ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি নির্মাণ করা হলে নাগরিক সেবা প্রসার বৃদ্ধি পাবে। এতে করে এলাকার জনগণ বেশি উপকৃত হবে।

কবাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. মফিজুর রহমান বলেন, কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদটি নতুন জায়গায় নির্মাণ করা দরকার। নতুন মডেলের ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে অনেক কক্ষ বিশিষ্ট হওয়া নাগরিকদের সেবা জন্য অনেক বিভাগের অফিস থাকে এতে করে নাগরিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারে।

৫নং বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গগন বিকাশ চাকমা বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদের নামে জায়গা ক্রয় করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের নামে নাম পরিবর্তনের জন্য নামজারীর জন্য আবেদন করা হয়েছে। নতুন মডেলের ভবনটি নির্মাণ হলে সকল সেবা একসাথে জনগণ পাবে। সেবা পেতে সময় কম লাগবে। উপজেলা থেকে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এসে নাগরিক সেবা দিতে পারবে। বিশেষ করে ইউনিয়ন পর্যায় কৃষি উপসহকারী অফিসারদের অফিস কক্ষ থাকলে কৃষকদের ফসল চাষের পরামর্শ পাবে।

ইএইচ