গাজীপুরে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়

গাজীপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৪, ০৬:০০ পিএম

গাজীপুরে ঈদ করতে দুই মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সোমবার দুপুর পর্যন্ত গাজীপুরের দুই মহাসড়ক ছিল স্বাভাবিক। তবে দুপুরের পর হঠাৎ মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত মানুষের চাপে বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে যানজট।

গাজীপুরে চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের পল্লী বিদ্যুৎ পর্যন্ত ও কালিয়াকৈর নবীনগর সড়কের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চান্দনা চৌরাস্তা, সালনা, রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা, হোতাপাড়া, বাগেরবাজারে থেমে থেমে যানবাহন চলছে, কারখানা ছুটির ফলে প্রত্যোক স্টপেজে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।  

যাত্রী ও পরিবহন মালিকরা জানায়, গাজীপুরে ছোটবড় প্রায় ৫ হাজার শিল্পকারখানা রয়েছে। এসব কারখানার মধ্যে অধিকাংশ ছুটি হবে আজ। ইতোমধ্যে দুপুর ১২টার পর অনেক কারখানা শ্রমিকরা ছুটি পেয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন। ফলে বেড়েছে যাত্রীদের ভিড়, দেখা দিয়েছে যানজট। তবে বিকেল নাগাদ এই চাপ আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

রিপন নামের এক পোশাকশ্রমিক বলেন, আমরা ব্যাগ গুছিয়ে সকালে অফিসে গেছিলাম। ১২টার দিকে অফিস থেকে বের হয়ে গেছি৷ এখন চন্দ্রা আসলাম তবে অনেক ভিড়। সমস্যা নেই সবার যে গতি আমারও তাই। অনেক সময় আছে এরমধ্যে বাড়ি চলে যাব।

সজিব শেখ নামে একজন কারখানা শ্রমিক বলেন, বর্তমানে যে পরিমাণ মানুষ মহাসড়কে দেখা যাচ্ছে বিকালে কি অবস্থা হয় বলা মুশকিল। অতিরিক্ত মানুষের চাপে ভাড়া বেশি নিচ্ছে গাড়িতে। তবুও মানুষ যাচ্ছে। ভাড়া ব্যাপার নয়, গাড়ি পেলেই খুশি হয়ে যাচ্ছে।

পোশাকশ্রমিক রুবেল বলেন, আজ সকালে ফ্যাক্টরি ছুটি হয়েছে। পরিবার নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ রওনা হয়েছি। ঈদের সামনে যানজট ভোগান্তি একটু হবেই৷ ভালো একটা গাড়ি পেলে সমস্যা হবে না। আমার মতো এমন হাজার হাজার মানুষ এসব মাথায় নিয়েই ঈদ করতে বাড়ি যায়।

নাওজোর হাইওয়ে পুলিশের ওসি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, দুপুরের দিকে কারখানা ছুটি হওয়ার যাত্রীর চাপ বেড়েছে। ফলে চন্দ্রায় যানবাহনে ধীরগতি আছে। আজকাল একটু চাপ হবেই। যাত্রাপথ স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।

ইএইচ