নামাজে সূরায় ভুল, ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৪, ১১:১১ এএম

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তারাবি নামাজের সুরায় ভুলকে ইস্যু করে ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে চাচা মোতালেব সিকদার ও বাদল শিকদারের বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটে ২৯ রমজান বুধবার (৯ এপ্রিল) তারাবি নামাজ শেষে রাত সাড়ে ৯টার সময়। বরগুনা জেলা পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কালিবাড়ি গ্রামের নাজেম আলী হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদে সামনে।  এ ঘটনায় ১০ এপ্রিল পাথরঘাটা থানায় মারামারি সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নিহত হোসেন সিকদারের (৪৮) লাশ বরিশাল থেকে সুরতাল শেষে পাথরঘাটা নিজ বাড়িতে জানাজার পর দাফন দেয়া হয়েছে।

নিহতের স্বজনদের দাবি, মোঃ হোসেন শিকদারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা নিয়ে বিরোধ ছিল একই এলাকার অহেদ শিকদারের ছেলে চাচা মোতালেব সিকদার ও বাদল শিকদারের সাথে।

ঘটনার ৩ দিন পূর্বে তারাবির নামাজে ইমাম সাহেবের ভুল হয়েছে এ নিয়ে হোসেন সিকদারের সাথে মোতালেব সিকদারের ভাই বাদল শিকদার এবং সোলাইমান শিকদারের মধ্যে বাক বিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে গত ৯ এপ্রিল ২৯ রোজায় তারাবির নামাজ পড়ে বসতঘরে ফেরার পথে হোসেন সিকদারকে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে গত ১৮ এপ্রিল দিনগত রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় হোসেন শিকদারের। এই ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্ত্রী ও স্বজনরা।

নিহত হোসেন সিকদারের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মেয়ে ও প্রতিবন্ধী এক ছেলে রয়েছে। সংসারের উপার্জনের একমাত্র ব্যক্তি না ফেরার দেশে চলে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে এই পরিবার

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তারাবি নামাজ থেকে বের হওয়ার পরই হোসেন শিকদারের বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে তারই চাচারা। এ নিয়ে ১০ এপ্রিল ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। আমরা তাৎক্ষণিক প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করি। আর অন্যান্য আসামীরা জামিন নেয়।

গত কাল জানা যায় হোসেন শিকদার মারা যায় । আমরা মৃত্যুর সনদপত্র পেলে, বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করব। এবং আদালত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিআরইউ