কুষ্টিয়ায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৪, ১০:২৫ এএম

‘তামাক কোম্পানীর হস্তক্ষেপ প্রতিহত করি, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে, জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে আসন্ন বাজেটে তামাকের মূল্য ও কর বৃদ্ধির দাবিতে কুষ্টিয়ায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দিনব্যাপী বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্সেশন পলিসি, ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ ও সাফ‘র আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচি ও লিফলেট ক্যাম্পেইনসহ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও সাফ‘র নির্বাহী পরিচালক মীর আব্দুর রাজ্জাকের পরিচালনায় এনএস রোডে বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটের সামনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, দৈনিক সত্য খবরের প্রকাশক ও সম্পাদক মো: হাসিবুর রহমান রিজু, কুষ্টিয়া পৌর কার্যালয়ের স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো: আব্দুর রহিম, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের প্রসিকিউটর মো: আকুব্বার আলী, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মো: নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

দিবসকে সামনে রেখে সিভিল সার্জন ডা: মো: আকুল উদ্দিন মহদয়ের সাথে মতবিনিময় ও লিফলেট ক্যাম্পেইন করা হয়। পরে তোফাজ্জল হেলথ কেয়ার’র সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও লিফলেট ক্যাম্পেইনে বক্তব্য রাখেন ডা: এএফএম আমিনুল হক রতন ও ডা: আসমা জাহান লিজা।

বক্তাগণ বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন সরকারের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যার সুফল জনগণ পাচ্ছে।  প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সাল নাগাদ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ঘোষণা করেছেন। তামাকের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই বিশ্ব ব্যাপী তামাক নিয়ন্ত্রণ ও তামাকমুক্ত‘র দাবি দিনকে দিন জোরালো হচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তামাকমুক্ত করার সবচেয়ে কার্যকর ও সাশ্রয়ী উপায় হলো মূল্য ও কর বাড়িয়ে এটিকে মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে নিয়ে যাওয়া।

বক্তারা আরও বলেন, ১৮ বছরের কম বয়সের ব্যক্তির নিকট বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, গুল, সাদাপাতা ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন অমান্যে ৫০০০ টাকা জরিমানা। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও নেশা থেকে রক্ষা করা আমার আপনার সবার দায়িত্ব। তাই আসুন, তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তা নিষিদ্ধ করতে, ২০৪০ সাল নাগাদ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে, তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করি, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি।

বিআরইউ