হুমকির মুখে কাটাখালি সেতু ও ফসলি জমি

ইয়ামিন হাসান, সাঘাটা প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর এলাকায় বাঙালি নদীর মাত্র এক কিলোমিটার অংশজুড়ে ৬টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদীর ওপর নির্মিত কাটাখালি সেতু ও আশপাশের প্রায় দেড়শ বিঘা ফসলি জমি চরম ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে।

একাধিকবার প্রশাসনকে জানানো হলেও কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, আর নদীপাড়ের সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রামনগর এলাকায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে কোটি কোটি টাকার বালু তোলা হচ্ছে। এসব বালু পরিবহনে ব্যবহৃত কাকড়া গাড়ি ও অবৈধ ট্রাক্টর দিনরাত সড়কে চলাচল করে দুর্ঘটনার ঝুঁকি সৃষ্টি করছে এবং গ্রামের ছোট ছোট রাস্তা নষ্ট করে দিচ্ছে। বালু উত্তোলনে জড়িতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন হাসানুর রহমান, হাসিবুর রহমান, আব্দুর রশিদ, শরিফুল ইসলাম ও আমিরুল ইসলাম। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তারা এই অবৈধ কার্যক্রম চালালেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কার্যকর নজরদারির অভাবে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।

ফসলি জমির পাশাপাশি প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কাটাখালি সেতুটিও এখন হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নদীর ভাঙনে সেতু ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এ বিষয়ে কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খন্দকার বলেন, “বারবার নিষেধ করার পরও বালু উত্তোলনকারীরা কোনো কর্ণপাত করছে না। তারা দিনদিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।”

সাঘাটা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনোরঞ্জন বর্মণ বলেন, “এর আগেও একাধিকবার ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে। আবারও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

ইএইচ