চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে—সম্প্রতি এমন গুজব ও সমালোচনা বিভিন্ন মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হোটেলে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে যাচ্ছে—এই কথাটি সম্পূর্ণ ভুল এবং বিভ্রান্তিকর। বাস্তবে হচ্ছে, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা উন্নয়নে কাজ করছে। বন্দরের পরিচালনায় বিদেশি অপারেটর যুক্ত হলে চাকরি কমবে না বরং কর্মসংস্থান ১০ গুণ বাড়বে।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকে আশঙ্কা করছেন, বিদেশি অপারেটর এলে চাকরি হারানোর আশঙ্কা তৈরি হবে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, বরং কর্মসংস্থান বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। যে যেখানে কাজ করছেন, তার থেকেও বেশি লোক নিয়োগ দেওয়া হবে।”
সভায় প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকা তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন, “ড. ইউনূস ২০০৭-০৮ সাল থেকেই চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নের বিষয়ে লিখে আসছেন। আমি গত ৯ মাসে উনাকে কাছ থেকে দেখেছি। বলা যায়, তাঁর চেয়ে ব্যবসা-বান্ধব সরকারপ্রধান আর আসেননি।”
“দাভোসে তিনি একদিনে ২৩টি বৈঠক করেছেন, নিউইয়র্কে চার দিনে করেছেন ৫১টি বৈঠক। সব বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল—বাংলাদেশে কিভাবে আরও বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান আনা যায়। বিদেশি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে, যারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন,” যোগ করেন তিনি।
প্রেস সচিব আরও বলেন, “চট্টগ্রাম অঞ্চলের অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। আমাদের লক্ষ্য, তারা যেন দেশে থেকেই ভালো আয় করতে পারেন। এজন্য চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে বড় পরিসরে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।”
সভায় জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে বাংলাদেশকে ‘গ্লোবাল ফ্যাক্টরি’ হিসেবে গড়ে তুলতে চান। এজন্য সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি, বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
ইএইচ