গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা ও ফুলছড়ি) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মনোনয়নপ্রত্যাশী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক নাহিদুজ্জামান নিশাদ বলেছেন, “জনগণের কল্যাণ ও এলাকার সার্বিক উন্নয়নে আমার অবস্থান সবসময় দৃঢ়। এ অঞ্চলের অবহেলিত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আমি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও করে যেতে চাই।”
একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার শিকড় এই এলাকাতেই। এখানকার প্রতিটি মানুষ আমার আপনজন। আমি বিশ্বাস করি, জনগণের পাশে থেকে রাজনীতি করলে তবেই প্রকৃত অর্থে দেশ ও সমাজ উপকৃত হয়।”
নিশাদ জানান, তিনি একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন ১৯৯১ সালে এবং তখন থেকেই বিএনপির আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন।
তিনি আরও বলেন, “আমার জীবনের লক্ষ্যই হচ্ছে জনগণের পাশে থেকে তাদের সমস্যার সমাধান করা। আমি চাই এই এলাকা যেন উন্নয়নের একটি মডেল হিসেবে পরিচিতি পায়। একমাত্র জনগণের ভালোবাসা ও আস্থা আমাকে সেই দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দিতে পারে।”
নাহিদুজ্জামান নিশাদ দাবি করেন, বিএনপি যদি তাঁকে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করে, তবে নির্বাচিত হয়ে তিনি এই জনপদের অবহেলিত মানুষের জন্য একটি টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন। তিনি বলেন, “এই অঞ্চলের মানুষ যেন জীবিকার জন্য রাজধানীমুখী না হয়, সেজন্য স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টিই হবে আমার অগ্রাধিকার।”
সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, “বেকারত্ব, কৃষি খাতে অনুন্নয়ন, নদীভাঙন, স্বাস্থ্যসেবার অভাব—এলাকার মানুষের মূল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি। আমি চাই, এসব সমস্যার কার্যকর সমাধানের মাধ্যমে সাঘাটা ও ফুলছড়িকে একটি মডেল আসনে রূপান্তরিত করতে।”
তিনি বলেন, “আমি রাজনীতিকে ব্যক্তিস্বার্থে নয়, জনসেবার একটি বড় মাধ্যম হিসেবে দেখি। ঢাকায় আরামে থাকার সুযোগ থাকলেও আমি বেছে নিয়েছি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পথ—তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের দায়িত্ব নিতে।”
বর্তমানে নাহিদুজ্জামান নিশাদ গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনীতির বাইরে তার আরেকটি পরিচয়—তিনি বগুড়া থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। দলের ভেতরে ও বাইরে অনেকেই তাঁকে বিএনপির ‘ক্লিন ইমেজ’ধারী নেতা হিসেবে বিবেচনা করেন।
ইএইচ