সোনালি ধানের শীষে মুখরিত দীঘিনালার মাঠ। বোরো ধানের বাম্পার ফলনে খুশি খাগড়াছড়ির দীঘিনালার কৃষক-কৃষাণিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, এবার উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে বোরো ধানের আশাব্যঞ্জক ফলন হয়েছে।
বাংলা নববর্ষের শুরুতেই ধান কাটায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন পাহাড়ি জনপদের কৃষকেরা। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি ২০২৫ অর্থবছরে উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯৫০ হেক্টর, কিন্তু চাষ হয়েছে ১ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমিতে। গত বছর এই পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯০০ হেক্টর।
দীঘিনালার পাবলাখালী শান্তিপুর, তারাবনিয়া, বোয়ালখালী, বাবুছড়া, জয়কুমার কার্বারীপাড়া ও কাঁঠালতলী এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন সোনালি রঙে ঢেকে গেছে ধানের শীষ। ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
তরাবনিয়া বিলে ধান কাটতে থাকা কৃষক ধন বিকাশ চাকমা বলেন, ‘গত বছর বন্যায় আউস-আমন ধানে বারবার ক্ষতি হয়েছে। এবার ঝড়বৃষ্টি না থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। ৪০ শতকে চাষ করেছি, আশা করছি ২০-২৫ মন ধান পাব।’
একই এলাকার শান্তিপুর বিলে ১ একর জমিতে উচ্চফলনশীল ধান চাষ করেছেন সমীরন চাকমা। তিনি বলেন, ‘বিরি-১০৪ জাতের ধান চাষ করেছি, ফলন খুব ভালো। ৫০-৬০ মন ধান পাব বলে আশা করছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সার, সেচ ও কীটনাশকের পর্যাপ্ত সুবিধা থাকায় বোরো ফলন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হয়েছে। চাষিরা এ বছর জিংকসমৃদ্ধ উচ্চফলনশীল জাতের ধান যেমন বিরি-১০০ থেকে বিরি-১০৮ পর্যন্ত চাষ করেছেন, যা রোগ প্রতিরোধে সক্ষম ও স্বাস্থ্যসম্মত।’
বিআরইউ