ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

আব্দুল্লাহ আল আমীন, ময়মনসিংহ প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৫, ০৮:২০ পিএম

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক শিক্ষার্থী, ধ্রুবজিৎ কর্মকার (২২) আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর আগে নিজের ডায়েরিতে লেখা সুইসাইড নোটে তিনি দেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাকে এই চরম সিদ্ধান্তের জন্য দায়ী করেন।

রোববার দুপুর ১টার দিকে কলেজের অমর একুশে হলের ৩০৭ নম্বর কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ক্যাম্পাসে নেমে আসে শোকের ছায়া এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

সুইসাইড নোটে ধ্রুবজিৎ লেখেন— “আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা। পরেরবার ফার্মেসি নিয়ে পড়বো। এত চাপ আমার পক্ষে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। বিদায়।”

তিনি আরও লেখেন, “সরি মা, বাবা। আমি ধ্রুবজিৎ, সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কার্ডের পিন (...) টাকাগুলো মাকে দিয়ে দিও।”

সহপাঠীরা জানান, ধ্রুবজিৎ গত কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে চরম চাপের মধ্যে ছিলেন। পড়াশোনার চাপ, পারিবারিক প্রত্যাশা এবং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করতেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।

শিক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা দেশের বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থার মানবিক দুর্বলতা এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপের একটি প্রতীকী বহিঃপ্রকাশ। প্রতিযোগিতামূলক চাপ, মানসিক সহায়তার অভাব ও সিস্টেমের অসংবেদনশীলতা শিক্ষার্থীদের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনছে।

কলেজ প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত এবং ঘটনার যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ