ভোলায় ২ শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ভোলা প্রতিনিধি  প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৫, ০৮:২৭ পিএম

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহন উপজেলায় সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়বের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের সঙ্গে সাধারণ জনতা ও প্রাক্তন ছাত্রদেরকেও যোগ দিতে দেখা গেছে।

সোমবার (১৯ মে) বেলা১১টার দিকে লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের ওপরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়। 

বিক্ষোভকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সরকারি বিদ্যালয় হওয়ার পরেও বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর চেয়ে বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ল্যাব ও অবকাঠাগত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করে ফেলেছেন ওই দুই শিক্ষক। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বিদ্যালয়ের জমি বিক্রি এবং লিজ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা জানায় পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের  ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের চাচাতো ভাই এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়ব চাচাতো বোন জামাই। সেই সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যালয়ের জমি, বাজারের কিছু জায়গা বিক্রি করে দেন। এছাড়াও ক্ষমতার দাপট দিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন।গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জনরোষের ভয়ে পলাতক হন ওই দুই শিক্ষক। দীর্ঘদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় এর আগেও তাদের অপসারণের দাবিতে একাধিকবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের কাছে ফোন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, অভিযোগের সত্যতা নেই।

অপর সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়বের কাছে জানতে তার ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ বলেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি ৭ কর্মদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলব। যাতে দ্রুততম সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় এবং তদন্তে অনিয়ম প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

আরএস