পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, “উন্নয়ন শুধু জেলা সদরেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, তা জেলার প্রতিটি উপজেলাতেও দৃশ্যমান হতে হবে।”
শুক্রবার রাঙামাটি জেলা পরিষদ সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “নিজেদের ব্যক্তিগত সন্তুষ্টির চেয়ে এক হাজার কৃষক পরিবারকে দারিদ্র্যমুক্ত করার মধ্যে যে সুখ, তা উপভোগ করতে শিখতে হবে। বিগত সময়ে পার্বত্য জেলাগুলোতে যে বরাদ্দ এসেছে, তার অর্ধেকও সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে এখানকার মানুষ আজ দরিদ্র থাকত না।”
উন্নয়ন কার্যক্রমের সঠিক বাস্তবায়ন ও নজরদারির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি সংশ্লিষ্টদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, “একসময় পার্বত্য জনগোষ্ঠী কোটা সুবিধা পেত, তারা ছিলেন ভাগ্যবান। এখন কোটার সুযোগ না থাকায় মূলধারার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে মানসম্মত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।”
পার্বত্য নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্টে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।”
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল খালেক বলেন, “সরকার জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে জিআরএস পদ্ধতি চালু করেছে। সেবাগ্রহীতাদের অধিকার রক্ষায় এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”
তিনি আরও বলেন, “সিটিজেন চার্টার, দাপ্তরিক ও নাগরিক অভিযোগ ব্যবস্থাপনা এবং বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির ভিত্তিতে প্রশাসনকে আরও দক্ষ ও স্বচ্ছ হতে হবে।”
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলাম।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, অতুল সরকার এবং জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মো. রিজাউল করিম।
কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে (২৪ মে) এসডিজি স্থানীয়করণ, জিআরএস সফটওয়্যার সংক্রান্ত তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণসহ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে।
ইএইচ