অভয়নগরে নিহত কৃষক দল সভাপতির দাফন সম্পন্ন

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম

যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া পৌর শাখা কৃষক দলের সভাপতি এস এম তরিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

শুক্রবার আছরের নামাজ শেষে ধোপাদী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

তরিকুল ইসলাম উপজেলার ধোপাদী গ্রামের মৃত ইব্রাহিম সরদারের ছেলে।

জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পার হলেও নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে ঘটনার পর সন্দেহভাজন হিসেবে ডহরমশিয়াহাটী এলাকা থেকে দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

তরিকুল ইসলামের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, অভয়নগর থানা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম হায়দার ডাবলু, নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নঈম মোড়ল, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল মোল্যা, বিএনপি নেতা মশিয়ার রহমান, জাকির হোসেনসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলীম জানান, ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে ধোপাদী গ্রামে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হয়। তিনি বলেন, “তদন্তের স্বার্থে সন্দেহভাজনদের নাম-পরিচয় আপাতত প্রকাশ করা যাচ্ছে না। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে একাধিক টিম কাজ করছে।”

এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রামে পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে যান তরিকুল ইসলাম ও তার সহযোগী সুমন। সেখানে মৎস্যঘেরের জমি নিয়ে চুক্তিপত্র স্বাক্ষরকে কেন্দ্র করে পিন্টু বিশ্বাসের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা তরিকুলকে কুপিয়ে ও গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িসহ আশপাশের অন্তত ২০টি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ওসি আব্দুল আলীম আরও জানান, “সুন্দলী ইউনিয়নের পরিস্থিতি বর্তমানে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।”

ইএইচ