ঈদ-উল-আযহা ঘনিয়ে আসতেই রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ। সেই ঢল শুরু হতেই যানবাহনের চাপ বাড়ছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে। এই চাপের সঙ্গে বাড়ছে যানজটের শঙ্কা, যা যাত্রাপথকে করছে দুর্বিষহ।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহাসড়কের একাধিক অংশে ব্যাটারি চালিত থ্রি-হুইলার চলাচল, অবৈধ অস্থায়ী দোকানপাট ও পশুর হাটের অব্যবস্থাপনা যানজটের মূল কারণ।
ময়মনসিংহ নগরীর প্রবেশমুখে শিকারি কান্দা মোড়ে বসানো গরুর হাটে যান চলাচল একপ্রকার থেমে যাচ্ছে। একই অবস্থা হাট সংলগ্ন অন্যান্য এলাকাতেও। বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা ও নজরদারির অভাবকে দায়ী করছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।
মহাসড়কের দিঘারকান্দা বাইপাস থেকে ব্রিজ পর্যন্ত অন্তত ১৭টি স্থানে রয়েছে খানাখন্দ। এসব স্থানে গাড়ির গতি কমে গিয়ে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন জানিয়েছেন, ‘ঈদের আগেই সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলোর মেরামত শেষ করা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সড়ক চলাচলের উপযোগী করতে কাজ চলছে।’
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কটি দেশের অন্যতম ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ রুট। ১১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়ক দিয়ে উত্তরের কয়েকটি জেলার মানুষ যাতায়াত করেন। ঈদের সময় যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়, ফলে প্রতি বছরই এই পথে সৃষ্টি হয় দুর্ভোগ।
পরিবহন চালক ও যাত্রীরা বলছেন, ‘প্রশাসনের সঠিক তদারকি থাকলে প্রতিবছর একই ভোগান্তি হতো না। ঈদের আগেই যদি সড়ক শৃঙ্খলায় নজর দেওয়া হতো, তাহলে দুর্ভোগ এড়ানো যেত।’
তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগসহ একাধিক সংস্থার সমন্বয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
যাত্রীরা বলছেন, কথায় নয়—চাই মাঠপর্যায়ে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ। তবেই স্বস্তির ঈদযাত্রা নিশ্চিত হবে।
বিআরইউ