পদ্মা–মেঘনায় বাঁশের বাঁধ, বিপাকে জেলেরা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৫, ০৬:০৬ পিএম

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মা ও মেঘনা নদীতে বাঁশ ও কারেন্ট জাল দিয়ে নদীজুড়ে আড়াআড়িভাবে বাঁধ তৈরি করে চলছে অবাধে মাছ শিকার। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, হুমকির মুখে পড়েছে মাছের প্রজনন, আর মাছ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় জেলেরা।

উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের বেপারি বাজার, ছুরির চরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে দেখা গেছে, নদীর এক পাড় থেকে অন্য পাড় পর্যন্ত প্রায় ১৪০০ থেকে ১৮০০ মিটার দৈর্ঘ্যের বাঁধ দেওয়া হয়েছে। বাঁশের কাঠামোর ভেতর কারেন্ট জাল বসানো হয়েছে, আর নির্দিষ্ট দূরত্বে ফাঁদ তৈরি করে মাছ আটকে ফেলা হচ্ছে। প্রতিদিন তিন-চারবার এ বাঁধ থেকে মাছ আহরণ করা হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র এ বাঁধ পরিচালনা করছে। মূলত ইলিশসহ বিভিন্ন জাতের মাছ শিকারের জন্যই তারা এমন অবৈধ পদ্ধতি ব্যবহার করছে। এর ফলে গরিব ও সাধারণ জেলেরা নদীতে স্বাভাবিকভাবে মাছ ধরতে পারছেন না।

একজন স্থানীয় জেলে রিপন মিয়া বলেন, একটি বড় ঘের তৈরি করতে ৪-৫ লাখ টাকা লাগে। এক মৌসুমেই ২০-২৫ লাখ টাকার মাছ ওঠে। এসব ঘেরের জালে একবার মাছ ঢুকলে আর বের হতে পারে না। এতে মাছের প্রজনন ব্যাহত হয়, ছোট মাছও নিধন হয়।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কোনো প্রকার স্থায়ী বা অস্থায়ী বাঁধ দিয়ে নদীর গতিপথ ও মাছের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা আইনত দণ্ডনীয়। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েক মাস ধরে এই কার্যক্রম চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তবে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, ‘নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

বিআরইউ