টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রবাসী বহনকারী একটি মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা গাড়ির যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৭০ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। বাধা দিতে গেলে ডাকাতরা পুলিশের রেকার গাড়ির এক সহকারীকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
শনিবার ভোর ৩টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার পুষ্টকামুরী চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ডাকাতদের ব্যবহৃত হাইয়েস মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো চ-১৩-৩২০২) জব্দ করেছে।
ভুক্তভোগী সুমাইয়া আক্তার জানান, তার ননদ বিউটি আক্তার গত ২৯ মে জর্ডান থেকে দেশে ফেরার পর টঙ্গীর এক আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান করছিলেন। পরে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে তারা টঙ্গী রেলস্টেশন থেকে একটি নোয়াহ মাইক্রোবাস ভাড়া করে বগুড়ার সারিয়াকান্দির উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাত ৩টার দিকে চরপাড়া এলাকায় পৌঁছালে একটি হাইয়েস গাড়ি তাদের গতিরোধ করে। গাড়ি থেকে ৭-৮ জন নেমে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তাদের একজনের হাতে পিস্তল, একজনের হাতে ওয়াকিটকি এবং অন্য একজনের হাতে হ্যান্ডকাফ ছিল।
এ সময় পুলিশের একটি রেকার গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে ডাকাত দলের একজন রেকার সহকারী তুহিনকে গুলি করে এবং আরেকটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে দ্রুত সটকে পড়ে। ভুক্তভোগীদের সন্দেহ, তাদের ভাড়াকৃত গাড়ির চালক ও সহকারী ডাকাতদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে।
গুলিবিদ্ধ তুহিন জানান, “আমি ডাকাতদের হাইয়েস গাড়ির চাবি নিতে গেলে তারা আমার হাতে গুলি করে। ডাকাত দলের সদস্য সংখ্যা ১০-১২ জনের মতো ছিল। তারা এলোপাথাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়।”
এ বিষয়ে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আদনান মুস্তাফিজ বলেন, “ঘটনার পর থেকে পুলিশ ও ডিবি যৌথভাবে তদন্তে কাজ করছে। আহত তুহিন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”
ইএইচ