বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদে ঈদুল আযহা উপলক্ষে সরকারী বরাদ্দকৃত ভিজিডি কার্ডের চাউল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, ঈদ উপলক্ষে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ২,৩০০ জন উপকারভোগীর মাঝে চাউল বিতরণের কথা থাকলেও, বাস্তবে দেওয়া হয়েছে মাত্র ১,৮০০ জনকে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ২০০ জন করে কার্ডধারী উপকারভোগীর মাঝে চাউল বিতরণ করা হলেও, নির্ধারিত ১০ কেজির পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে ৭ কেজি করে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ শফি ও শাহাবুদ্দীন অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের (যুবলীগ, ছাত্রলীগ) সমর্থিত তুলনামূলকভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের মাঝেই বেশি চাউল বিতরণ করেছেন। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত অনেক পরিবারের সদস্যরা এই সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি করেন তারা।
এছাড়াও, ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক ইউপি সদস্য জানান, আগেও চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। তাদের দাবি, ভিজিডি কার্ডধারী ৩৯৯ জন উপকারভোগীর দুই বছরে জমাকৃত প্রায় ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। এছাড়া মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী প্রতি উপকারভোগীর কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আরিফ বলেন, “চাউলের পরিমাণ কম দেওয়ার ব্যাপারে চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি বলেন—‘যা পেয়েছো তা নাও, না নিলে রেখে দাও।’ এমন আচরণ একজন জনপ্রতিনিধির কাছে কাম্য নয়।”
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক অভিযোগগুলো অস্বীকার করে বলেন, “এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রতিটি ওয়ার্ডে মেম্বার ও গ্রামপুলিশের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে চাউল বিতরণ করা হয়েছে।”
এদিকে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈন উদ্দিন বলেন, “বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। অভিযোগের সত্যতা মিললে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ইএইচ