ফেনীতে ২৪-এর শহীদ পরিবারের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপহার বিতরণ করেছে জেলা জামায়াত।
বুধবার বিকেলে শহরের দারুল ইসলাম ভবনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া।
জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য মুফতি আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা আমীর ও কুমিল্লা অঞ্চলের টিম সদস্য এ কে এম শামছুদ্দিন এবং জেলা নায়েবে আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য অধ্যাপক আবু ইউসুফ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শহীদ শ্রাবনের পিতা নেছার উদ্দিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, এডভোকেট জামাল উদ্দিন এবং শহর জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, “শহীদরা আমাদের গর্ব। তাঁদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আজ মুক্তভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। এখনও পর্যন্ত ’৭১-এর শহীদ ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা হয়নি। আজ ২৪-এর আহতদের নিয়েও নানা বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। আমরা চাই, প্রকৃত আহতরাই যেন তালিকাভুক্ত হন, কোনো ভুয়া আহত ব্যক্তি তালিকায় স্থান না পায়। শহীদদের যে মহান উদ্দেশ্যে জীবনদান, তা যেন পূর্ণতা পায়—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
সভাপতির বক্তব্যে মুফতি আবদুল হান্নান বলেন, “আওয়ামী অপশক্তির হাত থেকে যাঁরা আমাদের মুক্তি দিয়েছেন, তাঁরাই আমাদের শহীদ। তাঁদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। ঈদের পর প্রতিটি শহীদ পরিবারের সঙ্গে জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎ করবেন।” তিনি সরকারের প্রতি শহীদ পরিবারগুলোর দায়িত্ব গ্রহণের আহ্বান জানান এবং আমীরে জামায়াতের পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা ও সালাম জানান।
শহীদ শ্রাবনের পিতা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “শ্রাবন ছিল আমার একমাত্র সন্তান। সে দেশের জন্য জীবন দিয়েছে—এজন্য আমি গর্বিত। যদি তাঁর জীবনদানের মাধ্যমে দেশে প্রকৃত অর্থে বৈষম্যহীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে তার জীবন সার্থক হবে।”
ইএইচ