বগুড়ার শাজাহানপুরে মিজানুর রহমান (৩৩) নামের এক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় জড়িত চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই তিনজন নামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তার হলেন—ফুলতলা এলাকার মৃত কোরবান আলী মণ্ডলের ছেলে মো. কামরান মণ্ডল শামীম (৩৮), শহরদিঘী এলাকার মো. শহিদুল মণ্ডলের ছেলে রাকিব মণ্ডল (৩২), এবং মাঝিড়া ইউনিয়নের ডোমনপুকুর নতুনপাড়ার আবু সাঈদের ছেলে সাকিব (২২)।
পুলিশ বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১১ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে আশেকপুর ইউনিয়নের সাবরুল বাগিনা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মিজানুর রহমান তার বাড়িতে টাকা দিতে যাওয়ার পথে রানিরহাট বাজারের ‘নাইস টেইলার্স’ দোকানের সামনে পৌঁছালে তিনটি মোটরসাইকেলযোগে অভিযুক্তরা তার গতিরোধ করে। তারা অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে মিজানুরকে মোটরসাইকেলসহ অপহরণ করে শাজাহানপুর থানার নন্দকুল গ্রামের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়।
সেখানে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করে এবং তার কাছে থাকা নগদ ২৮,৫০০ টাকা, একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এরপর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে বিকাশে ১ লাখ টাকা দাবি করে। পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ১৩ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এরপর তারা মিজানুরের পার্সোনাল নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে আরও ১৬ হাজার টাকা তুলে নেয়। পরবর্তীতে তার মোটরসাইকেল বন্ধক রেখে আরও ১ লাখ টাকা আদায় করে। এ ছাড়া কিছু নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর নেয় চক্রটি।
অপহরণকারীরা পরে তাকে ওই স্থানেই ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে মিজানুর চিকিৎসা শেষে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, যার ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরিফুল ইসলাম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেন এবং আদালতে সোপর্দ করেন।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, "মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার এবং লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।"
ইএইচ