ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্য খালি এলাকায় প্রায় দুই মাস ধরে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত চল্লিশটি পরিবার।
উজির আলী হাওলাদারের বাড়িসহ আশপাশের ৬-৭টি বাড়িতে বর্ষার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ঘর-বাড়ির আঙিনা, রান্নাঘর থেকে শুরু করে যাতায়াতের পথ পর্যন্ত কোমরসমান পানিতে ডুবে আছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও আবার কোমর সমান পানি জমে আছে।
দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতায় কাঁচা ভিটার মাটি সরে গিয়ে বসতঘর ধসে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন ঘরে আবদ্ধ হয়ে পড়া নারী ও শিশুরা। দুই শতাধিক মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট।
পানিবন্দি বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, প্রতিবেশী কামাল মাঝি নিজস্ব স্বার্থে বর্ষার পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে রাখায় এবছর এই সংকট তৈরি হয়েছে। স্থানীয়ভাবে অনেকেই কামাল মাঝির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা করার চেষ্টা করলেও তিনি কারও কথায় কর্ণপাত করছেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহনাজ আক্তার বলেন, “দুই মাস ধরে ঘরের চারপাশ পানিতে ডুবে। ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে আছি। রান্না করা যাচ্ছে না, সন্তানরা স্কুলে যেতে পারছে না, পুরো জীবনযাত্রা অচল হয়ে গেছে। প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ চাই।”
ষাটোর্ধ্ব নুরুল ইসলাম মাঝি বলেন, “কয়েকদিন ধরে অসুস্থ। ডাক্তার দেখাতে যেতে পারছি না, বাড়ি থেকে বের হতে গেলেই কোমরসমান পানিতে পড়তে হচ্ছে।”
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করলে কামাল মাঝি মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নিজেকে তার ভাই পরিচয় দেওয়া ফিরোজ নামের একজন বলেন, “সাংবাদিকেরা দেখতে আসছে, দেখা যাক ওরা কীভাবে পানি সরানোর ব্যবস্থা করে।”
এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। এটি অত্যন্ত অমানবিক অবস্থা। দ্রুত পানি সরানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ইএইচ