চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সাত বছর আগে ঘটে যাওয়া হায়াতের নেছা হত্যা মামলার প্রধান আসামি রিপন ওরফে রিংকুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআই চাঁদপুর অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার একেএম মহিউদ্দিন সেলিম।
তিনি জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান শনাক্ত করে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে রিংকুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি রাতে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম বড়ালি এলাকায় নিজ ঘরে খুন হন হায়াতের নেছা (৫০)। রিপন ও তার এক সহযোগী চুরির উদ্দেশ্যে হায়াতের নেছার ঘরে প্রবেশ করে এবং তিনি তাদের চিনে ফেলায় শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর তারা তার শরীর থেকে স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায়।
হায়াতের নেছা বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। ঘটনার পর তার ভাইয়ের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন রুবেল ফরিদগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে থানা পুলিশের দীর্ঘ তদন্তেও মামলায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শাহজাহান কবির দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেন এবং প্রধান আসামি রিংকুকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। পুরো মামলার তদারকিতে ছিলেন পিবিআই কর্মকর্তা একেএম মহিউদ্দিন সেলিম।
গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার বিকেলে রিংকুকে চাঁদপুরের বিচারিক আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রিংকু জানান, চুরির উদ্দেশ্যে তারা হায়াতের নেছার ঘরে ঢুকেছিলেন। কিন্তু তিনি তাদের চিনে ফেলায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
স্বীকারোক্তির পর আদালত রিংকুকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ইএইচ