নাটোরের গুরুদাসপুরে সেনাবাহিনীর টহল ও তল্লাশি অভিযানে সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল ও বেশ কয়েকটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটে উপজেলার বিয়াঘাট এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে ওই রাতে বিয়াঘাট এলাকায় একটি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়। চেকপোস্টে দায়িত্বরত সেনা সদস্যরা চারজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে দেহ তল্লাশি চালান। এ সময় একটি খেলনা পিস্তল ও কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা স্বীকার করে, তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে দলটির নেতৃত্বে থাকা দুইজনের নির্দেশে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছিল তারা। পরে সেনাবাহিনী পৃথক অভিযানে ওই দলের দুই নেতা সহ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এ পর্যন্ত অন্তত ৮টি অটোরিকশা, ১২টি মোটরসাইকেল এবং ৯টি কোরবানির গরু ডাকাতি করেছে। চাঁদা না দেওয়ায় অন্তত ৬টি মাছের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছিল তারা। এছাড়াও বিল, পুকুর ও নির্জন স্থানে মানুষকে জিম্মি করে নিয়মিত চাঁদাবাজি চালাতো এই চক্রটি।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– গুরুদাসপুরের নাজিরপুর নতুন পাড়ার আব্দুর রাজ্জাক (৩৮), একই গ্রামের কাওছার আহমেদ (২৫), মো. বিপ্লব মিয়া (২৪), দুধগাড়ি গ্রামের মবিদুল ইসলাম (২১), হরদমা গ্রামের মনিরুল ইসলাম (২৪) এবং সিংড়া উপজেলার কালিনগর গ্রামের মো. সুরুজ আলী (২১)।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের আইনি ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসমাউল হক জানান, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ইএইচ