কলাপাড়ায় গরুর হাটে জায়গা সংকট, দুর্ভোগে ক্রেতা-বিক্রেতা

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ০২:৫৩ পিএম

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্দিষ্ট জায়গার অভাবে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন গরুর হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। 

লালুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজারে প্রতি শনিবার বসা এ হাট থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় হলেও আজও বাজারটির জন্য নির্ধারিত কোনো স্থান বরাদ্দ দিতে পারেনি প্রশাসন।

সরেজমিনে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে লালুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজার এলাকায় সাপ্তাহিক হাট বসে আসছে, যা স্থানীয়দের কাছে 'শনিবারের বাজার' নামে পরিচিত। এ বাজারে স্থানীয় কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষজন তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে থাকেন। পাশাপাশি কয়েক বছর ধরে এখানে গরু-ছাগল ও মহিষ কেনাবেচা হলেও তা ছিল অননুমোদিত। 

গত বছর থেকে বাজারটি সরকারি ইজারার আওতায় আনা হলে রাজস্ব আদায় শুরু হয়। ফলে পশুবেচাকেনার পরিমাণও বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

তবে হাটের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় এখন গরুর হাট বসছে বাজারে যাতায়াতের প্রধান সড়ক এবং এর আশপাশে। এতে একদিকে সড়কে যানচলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে, অন্যদিকে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতা, বিক্রেতা, ইজারাদার ও যানবাহনচালকরা।

ক্রেতা মুছা বিশ্বাস, বিক্রেতা সুমন বেপারী, মোটরসাইকেলচালক মাসুম ও অটোরিকশাচালক হালিম জানান, নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় হাটে অংশ নিতে গিয়ে সবাইকেই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। যেহেতু বাজারটি এখন সরকারি রাজস্বের আওতায় এসেছে, তাই এর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

মুক্তিযোদ্ধা বাজারের ইজারাদার পক্ষের প্রতিনিধি বিশ্বাস রাশেদ মোশাররফ কল্লোল বলেন, “বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সরকারের রাজস্ব খাতে জমা দিচ্ছি, অথচ জায়গার সংকটে আমরা সমস্যায় পড়ছি। দ্রুত গরু-ছাগলের হাটের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দের দাবি জানাই।”

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “জনসুবিধার্থে বাজারের আয়তন বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। বাজারের নিকটবর্তী কোনো সরকারি জমি থাকলে তা বর্ধিত করে হাটের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা নির্ধারণ করা হবে।”

ইএইচ