মাগুরার শালিখায় বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

মিরাজ আহমেদ, মাগুরা প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম

২০২৪-২৫ অর্থবছরের খরিপ মৌসুমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলায় বিনামূল্যে বীজ, চারা ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক, কৃষক সংগঠন এবং বিভিন্ন কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের মাঝে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়।

সরকারি এ সহায়তা কার্যক্রমের মাধ্যমে রোপা আমন, তাল, সবজি, আম ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজসহ মৌসুমি ফসলের উৎপাদন বাড়ানো এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

মৌসুমি চাষের উপযোগী উপকরণ সময়মতো কৃষকের হাতে পৌঁছে দিয়ে কৃষি উৎপাদনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে সরকার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরার জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, “এই প্রণোদনা কর্মসূচি শুধু কৃষকের স্বার্থেই নয়, দেশের সামগ্রিক খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব, এবং কৃষকদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, “জেলা পর্যায়ে কৃষকদের তথ্যভিত্তিক সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করানোর মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে। এ প্রণোদনা তারই ধারাবাহিক প্রয়াস।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শালিখা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বনি আমিন। তিনি বলেন, “এই প্রণোদনার সুফল পেতে হলে কৃষকদের সঠিক সময়ে সঠিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। উপজেলা প্রশাসন সবসময় কৃষকদের পাশে আছে।”

অনুষ্ঠানে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ, ইউনিয়ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, কৃষক প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে নির্বাচিত কৃষকদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে বীজ, চারা ও সার বিতরণ করা হয়। উপকরণ পেয়ে কৃষকরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সরকারের এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

শালিখার কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, “গত বছর খরচের কারণে ফসল ভালো হলেও লাভ কম হয়েছিল। এবার সরকার যে সহায়তা দিয়েছে, তাতে কিছুটা হলেও খরচ বাঁচবে।”

স্থানীয় কৃষাণী রুবিনা খাতুন বলেন, “সবজি চাষের জন্য যে চারা পেয়েছি, তা দিয়ে এবার বাড়ির পাশেই চাষ করব। এতে সংসারে কিছুটা সহায়তা হবে।”

বাংলাদেশের কৃষিখাতে সরকারি প্রণোদনার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং কৃষকদের আর্থিক সংকট মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন সহায়তা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশজুড়ে হাজার হাজার কৃষক এই প্রণোদনার আওতায় উপকৃত হচ্ছেন।

ইএইচ