পাবনা মানসিক হাসপাতালে ৯ দালালের কারাদণ্ড

সফিক ইসলাম, পাবনা প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৫, ০১:২৪ পিএম

পাবনা মানসিক হাসপাতালে দালালচক্রের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ রোগী ও স্বজনরা। অভিযোগ, বহিরাগত এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়, হয়রানি এবং প্রতারণা করে আসছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (২৯ জুন) সকালে অভিযান চালিয়ে ৯ জন দালালকে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের এক মাসের কারাদণ্ড দেন।

অভিযান পরিচালনা করেন, পাবনা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেন। অভিযানটির তত্ত্বাবধানে ছিল জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), আর সহযোগিতা করে পুলিশ।

পুলিশ ও এনএসআই সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পাবনা মানসিক হাসপাতালটির বহির্বিভাগে সক্রিয় ছিল একটি দালালচক্র। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চিকিৎসার জন্য আগত রোগীরা পড়তেন এই চক্রের ফাঁদে। দালালরা টাকার বিনিময়ে হাসপাতালের সেবাসুবিধা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে রোগীদের হয়রানি করতেন।

অভিযানে আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কিসমত প্রতাপপুর গ্রামের মৃত রফিজ উদ্দিনের ছেলে মুকাররম (৫০), মুনসুর আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (৪২), ইসলামপুর গ্রামের মৃত জামাল শেখের ছেলে হালিম (৪০), আব্দুল লতিফ মণ্ডলের ছেলে মানিক মণ্ডল (২৪), হেমায়েতপুরের মৃত সামাদ শেখের ছেলে শফিকুল (৫৫), শহিদের ছেলে ছাবিত (১৯), মুনজিরের ছেলে মুন্নাফ (৩১), বুদেরহাট গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জুয়েল রানা (৩০), ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের মৃত ইসরাইলের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫)।

হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তারিকুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এনএসআই আমাদের সহায়তায় অভিযান চালানো হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আটক ব্যক্তিদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কারাদণ্ডাদেশের পর তাদের পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, হাসপাতাল ও জনগণের স্বার্থে এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা দরকার। মানসিক হাসপাতালের মতো স্পর্শকাতর স্থানে দালালচক্রের সক্রিয়তা দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক।

বিআরইউ