পাহাড়ে সম্প্রীতি ও উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে আর্থ সামাজিক কর্মসূচির আওতায় স্থানীয় দুঃস্থ পাহাড়ী-বাঙালি জনসাধারণ এবং মাদ্রাসা ও এতিমখানা, মসজিদ, মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মানবিক সহায়তা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির খেদাছড়া ব্যাটালিয়ন (৪০ বিজিবি), পলাশপুর জোন,।
রোববার সকাল ১১টার দিকে পলাশপুর জোন সদরে সম্প্রীতি ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পলাশপুর জোন, খেদাছড়া ব্যাটালিয়ন (৪০ বিজিবি) এর উদ্যোগে পাহাড়ী-বাঙালি, দুঃস্থ জনসাধারণ, মসজিদ, মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে ঢেউটিন, সেলাই মেশিন, লেখাপড়া, চিকিৎসা এবং মাদ্রাসা ও এতিমখানার জন্য আর্থিক অনুদান, খেলাধুলার জন্য ফুটবল, খাদ্য সামগ্রী প্রদান, অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারকে বকনা গরু অনুদান এবং মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খেদাছড়া ব্যাটালিয়ন (৪০ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহা. শাহীনূল ইসলাম, পিএসসি, ইঞ্জিনিয়ার্স।
বিশেষ মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে একটি মসজিদ, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, একটি মন্দির ছাড়াও ৯ জন স্থানীয় দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে সাড়ে ১৭ বান্ডেল ঢেউটিন, একটি পরিবারকে ১টি সেলাই মেশিন, খেলাধুলার জন্য একটি ক্লাব ও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ৩টি ফুটবল প্রদান করা হয়। একই সাথে ১ জন অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য, ১ জন ছাত্রীকে শিক্ষার জন্য এবং একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার জন্য নগদ আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। এর পাশাপাশি একটি দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারকে ১টি বকনা গরু অনুদান ও ৫ জনকে খাদ্য সামগ্রী প্রদানসহ সর্বমোট ১,৭৯,২০০/- টাকার মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
একই দিনে পলাশপুর জোন সদরে চিকিৎসা বঞ্চিত জনসাধারণের মাঝে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান করে খেদাছড়া ব্যাটালিয়ন (৪০ বিজিবি)।
খেদাছড়া ব্যাটালিয়নের মেডিকেল অফিসার মেজর মো. জাহিন আবদুল্লাহ‘র নেতৃত্বে দিনব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্পেইনে শতাধিক গরীব ও দুঃস্থ জনসাধারণকে স্বাস্থ্যসেবা এবং বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়।
খেদাছড়া ব্যাটালিয়নের (৪০ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহা. শাহীনূল ইসলাম, পিএসসি, ইঞ্জিনিয়ার্স বলেন, সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি বিজিবি এই অঞ্চলে মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিশেষ মানবিক সহায়তা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। বিজিবি এ জনপদের অন্তর্ভুক্ত মানবেতর জনগোষ্ঠীর চাহিদা পরিপূরণের মাধ্যমে অতীতেও মানুষের পাশে ছিল এবং আগামীতেও স্থানীয় দুঃস্থ পাহাড়ী-বাঙালি জনসাধারণের পাশে থাকবে।
ইএইচ