আগামী দুই বছরের মধ্যে নীলফামারীতে পুষ্টিহীনতার হার ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে আনার লক্ষ্যে শুরু হয়েছে বিশেষ ক্যাম্পেইন। জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের নীলফামারী এরিয়া কো-অর্ডিনেশন অফিস।
রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা পুষ্টি কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের নীলফামারী এরিয়া অফিসের সিনিয়র ম্যানেজার অনুকুল চন্দ্র বর্মণ।
সভায় জানানো হয়, ‘এনাফ ক্যাম্পেইন’-এর আওতায় নীলফামারী সদর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৪০ হাজার পরিবারকে পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করা হবে। এ লক্ষ্যে ১০০ জন ফিল্ডকর্মী মাঠপর্যায়ে কাজ করবেন। গর্ভবতী মা, শিশু ও শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
সভায় ওয়ার্ল্ড ভিশনের এডভোকেসি কো-অর্ডিনেটর তানজিমুল ইসলাম ও টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. জয়ন্ত কুমার নাথ প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আবু বকর সাইফুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সহকারী তথ্য কর্মকর্তা কবির উদ্দিন প্রমুখ।
ওয়ার্ল্ড ভিশনের এডভোকেসি কো-অর্ডিনেটর তানজিমুল ইসলাম জানান, দুই উপজেলার লক্ষ্যমাত্রাভিত্তিক এই কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বার্তা পৌঁছানো হবে, যাতে করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে সুস্থ, মেধাবী ও সক্ষম।
ইএইচ