শেবাচিমের মেডিসিন ভবনে রোগী দুর্ভোগ চরমে, স্থানান্তরের দাবি

বরিশাল ব্যুরো প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম

বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের (শেবাচিম) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ভবনের রোগীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। তাই দ্রুত সেই ভবন থেকে মেডিসিন ইউনিট স্থানান্তরের দাবিতে সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে হাসপাতালের সামনে বান্দ রোডে মানববন্ধন হয়েছে।

সচেতন বরিশালবাসীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের স্বজনসহ সচেতন নাগরিকরা অংশ নেয়।

বক্তারা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র বৃহত্তর চিকিৎসা কেন্দ্র শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ এখন রোগ তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। গোডাউনের মত বদ্ধ কক্ষে চিকিৎসার নামে চলছে এক রকম তামাশা। শুধু যে রোগীরাই এমন পরিস্থিতির শিকার এমনটা নয়, এখানে চিকিৎসা দিতে আসা চিকিৎসক-নার্সরাও রোগীতে পরিণত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালি কারণে আজ ভেস্তে যেতে বসেছে এ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসা ব্যবস্থা।

বক্তারা আরও বলেন, মেডিসিন ভবনের বারান্দার মেঝেতে একসঙ্গে চিকিৎসা নিচ্ছে কয়েক শ’ রোগী। এক কক্ষে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী থাকলেও নেই পর্যাপ্ত টয়লেট ও আলোর ব্যবস্থা। পোকামাকড় ও দুর্গন্ধে নাকাল রোগী ও তাঁদের স্বজনরা। চার দেয়ালে ঘেরা ভবনের ছোট ছোট কক্ষে ঠাসাঠাসি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। মাথার ওপরে অল্প গতিতে ঘুরছে ফ্যান। নষ্ট হয়ে আছে এসিগুলো। বাতি নেভাতেই ভেতরটা যেন পতিত হয় ঘুটঘুটে অন্ধকারে। প্রায়ই বন্ধ হয়ে যায় রোগীদের দুটি ও চিকিৎসকদের একটি লিফট। তখন সিঁড়ি দিয়ে অসুস্থদের ওপরে উঠতে হয় স্বজনদের কাঁধে চড়ে। মৃতদেহও একই পদ্ধতিতে নামিয়ে আনতে হয় স্বজনদের।

বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে যে ভবনে মেডিসিন ইউনিট রয়েছে সেটি মূলত ওটি কমপ্লেক্স। এখানে হওয়ার কথাছিলো বিভিন্ন ইউনিটের ওটি ও প্রশাসনিক কার্যালয়। অথচ  হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ও কয়েক চিকিৎসকের সিদ্ধান্তে পুরাতন ভবন থেকে এখানে মেডিসিন ইউনিট স্থানান্তর করা হয়। গোডাউন সদৃশ এই ভবনটি এখন মেডিসিন রোগী ও চিকিৎসকদের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। রোগীদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য উপযোগী নয় মেডিসিন ভবন।

আরএস