টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মডেল মসজিদের স্থান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মাঝে ব্যাপক জনমত তৈরি হয়েছে। এলাকাবাসীর একটাই দাবি—নাগরপুর সরকারি কলেজ মসজিদের পাশেই মডেল মসজিদ নির্মাণ করতে হবে। তাদের বিশ্বাস, ধর্মীয়, সামাজিক ও ব্যবহারিক দিক থেকে এ স্থানই সবচেয়ে উপযুক্ত।
এই দাবির পক্ষে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে নাগরপুর সরকারি কলেজ গেট এলাকায় তৌহিদি জনতার ব্যানারে এক শান্তিপূর্ণ গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
গণজমায়েতে বক্তারা বলেন, “নাগরপুর কলেজ মসজিদের পাশের জায়গাটি বহু বছর ধরে ইবাদতের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত ও সম্মানিত একটি স্থান। রাস্তাঘেঁষা হওয়ায় নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ, ছাত্র-শিক্ষকসহ সবার জন্যই সহজে প্রবেশযোগ্য।”
একজন আলেম বলেন, “এই স্থানের ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে। এখানে মডেল মসজিদ নির্মাণ হলে মুসল্লিদের অনেক উপকার হবে।”
এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই—জনতার এই ধর্মীয় দাবিকে সম্মান জানিয়ে মডেল মসজিদটি এখানে নির্মাণ করুন।”
এক তরুণ বলেন, “আমরা কোনো সংঘাত চাই না, বরং শান্তিপূর্ণভাবে জনগণের ঈমানি দাবি নিয়ে এসেছি।”
বক্তারা আরও বলেন, “এটি কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নয়, বরং সাধারণ মানুষের ধর্মীয় চেতনার প্রতিফলন। প্রশাসনের প্রতি আমাদের অনুরোধ, কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না করে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই দাবিকে বাস্তবায়ন করুন।”
গণজমায়েতে উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম, সরকারি কলেজ মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি সাদিকুর রহমান, মো. মোশাররফ হোসেন মুসা, মো. গোলাম মোস্তফা গোলাম, সাইদ আলী স্বাধীন, লুৎফর রহমান, মীর মুশফিক শৈবাল, রাজিব আহমেদসহ আরও অনেক ধর্মপ্রাণ মানুষ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি।
ইএইচ