জুলাই শহিদদের স্মরণে খাগড়াছড়ির মাটিতে ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় গড়ে উঠছে। “জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা ২০২৫” এর অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার সকালে জেলা বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস পালনের অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সরাফত হোসেন, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, পৌর প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ফেরদৌসী বেগম, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ফরিদ মিঞা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি রুমানা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চন্দ্র রায়, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার, এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক এড. মনজিলা সুলতানা ঝুমা, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম প্রফুল্ল, আহত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি রাকিব মনি ইফতি, মো. জাহিদ, মো. তপু, মো. জুনায়েদসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা।
বক্তারা বলেন, শহিদদের আত্মত্যাগ কেবল ইতিহাসের উপাখ্যান নয়, এটি বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা এবং প্রেরণার বাতিঘর। এ স্মারক তরুণ প্রজন্মকে সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও সাম্যের প্রশ্নে সচেতন ভূমিকা রাখার আহ্বানে উদ্বুদ্ধ করবে। ১৪ জুলাই খাগড়াছড়ির ইতিহাসে যুক্ত হলো আরেকটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, “জুলাই শহিদরা নিছক নাম নয়, তারা আমাদের বিবেক ও চেতনার প্রহরী। এই স্মৃতিস্তম্ভ হবে তাদের অমর আত্মত্যাগের এক স্থায়ী স্মারক।”
ইএইচ