ভুয়া লোনে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল প্রবাসীর, গ্রেপ্তার-৪

নীলফামারী প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম

বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি)–এর নামে ভুয়া লোন দেওয়ার প্রলোভনে এক সৌদি প্রবাসীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি প্রতারক চক্র। ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে চক্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁদ পাতত। এ ঘটনায় নীলফামারী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ঘটনার সূত্রপাত গত ১৮ জুলাই। ওই দিন প্রবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে নীলফামারী থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী। মামলার পর পুলিশ সুপার এ.এফ.এম. তারিক হোসেন খানের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ১৯ জুলাই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়।

অভিযান চালানো হয় চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের ইটাপীর, কামারপাড়া, বাবরীঝাড় ও চড়াইখোলা ইউনিয়নে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—

১। মো. রাকিবুল ইসলাম (২৫), ইটাপীর ডাঙা পাড়া

২। মো. মমিন উদ্দিন (২২), কামারপাড়া

৩। মো. ফরিদ (২৪), বাবরীঝাড়

৪। মো. মশিয়ার রহমান (৩৫), ইটাপীর।

এ সময় প্রতারণায় ব্যবহৃত ৮টি মোবাইল ফোন, ১২টি সিম কার্ড, একটি ল্যাপটপ ও নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

চক্রটি নিজেদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা পরিচয়ে ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপে ঋণ দেওয়ার বিজ্ঞাপন ছড়াত। বিজ্ঞাপন বুস্ট করে বিশেষ করে প্রবাসীদের টার্গেট করত তারা। এরপর আবেদনকারীদের কাছ থেকে নানাভাবে ফি নেওয়ার নাম করে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (বিকাশ, নগদ) অ্যাকাউন্টে টাকা আদায় করত।

তারা ভুয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম ব্যবহার করে একাধিক বিকাশ অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করত। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে আরও জানা যায়, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে অবৈধ সিম সরবরাহকারী ও ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজাররাও।

ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারকৃতদের একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই প্রতারণা চক্রের পেছনে থাকা পুরো নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। শিগগিরই বাকি জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

বিআরইউ