উত্তরার বিমান দুর্ঘটনায় নিহত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সেই শিক্ষার্থী রাইসা মনিকে (৯) আজ সকালে চিরবিদায় জানালো তার গ্রামবাসী।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে গ্রামের বাজড়া ঈদগাহ মাঠে জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে। শিশু রাইসার কফিন যখন বাড়িতে পৌঁছায়, তখন পুরো গ্রাম স্তব্ধ হয়ে যায়। চারদিকে শুধু কান্নার রোল।
রাইসা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত উত্তরা মাইলস্টোন স্কুলে। তার বড় বোন সিনথিয়া অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী, আর ছোট ভাই রাফসানের বয়স মাত্র চার বছর।
রাইসার বাবা শাহাবুল শেখ বলেন, ‘মেয়েকে শহরে পাঠিয়েছিলাম মানুষ করতে, এখন তাকে কবর দিতে হলো। কিছুই বোঝার মতো অবস্থায় নেই।’
তিনি জানান, বিমান বিধ্বস্তের পরদিন ২২ জুলাই সিআইডির ডিএনএ দল নমুনা সংগ্রহ করে। পরীক্ষার ভিত্তিতে রাইসার মরদেহ শনাক্ত করে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই মরদেহ গ্রামে নিয়ে আসেন তাঁরা।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘যখন রাইসার মরদেহ বাড়িতে এল, কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। এমন বেদনাদায়ক দৃশ্য এর আগে খুব কম দেখেছি।’
রাইসার বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল সন্তানদের ভালো শিক্ষায় শিক্ষিত করে মানুষ করবেন। সেই স্বপ্নেরই একটা অংশ হয়ে উঠেছিল রাইসা। তার জীবন থেমে গেল মাত্র ৯ বছর বয়সে—একটা ভয়ংকর দুর্ঘটনায়।
গত সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনে বিধ্বস্ত হয়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত ৩১ জন নিহত ও ৬৯ জন আহত হয়েছেন।
বিআরইউ