লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই জনস্বার্থে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় কঠোর ও সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন।
২০২৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মোট ১ কোটি ৯ লাখ ৪২ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ১৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল কোর্টে বিভিন্ন আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে জরিমানা ও দণ্ড কার্যক্রম।
উল্লেখযোগ্য আইন ও আদায়ের পরিমাণ নিচে দেওয়া হলো
এছাড়াও স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪, ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ সহ আরও কয়েকটি আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মোবাইল কোর্ট কার্যক্রমের মাধ্যমে লামায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনস্বার্থ সংরক্ষণ এবং অপরাধ দমনে উপজেলা প্রশাসনের সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈন উদ্দিন বলেন, “আমার দায়িত্বকালে জনগণের কল্যাণে ও আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম অব্যাহত ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এই সফলতা সম্ভব হয়েছে জনগণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণের কারণেই।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, লামায় এর আগে কখনও এত ধারাবাহিক ও বিস্তৃত পরিসরে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম তারা দেখেননি। অবৈধ বালু উত্তোলন, পরিবেশ ধ্বংস, মাদক বাণিজ্য, ওজনে কারচুপি, অনুমোদনহীন ব্যবসা—সবক্ষেত্রেই প্রশাসনের সক্রিয় পদক্ষেপে শৃঙ্খলা ফিরছে এবং সরকারের রাজস্ব আয়ও দ্রুত বাড়ছে।
ইএইচ