ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত আসন পুনর্বিন্যাসে নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসন থেকে সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ও নেয়াজপুর ইউনিয়নকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন এবং স্মারকলিপি প্রদান করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এবং সদর উপজেলার অশ্বদিয়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে সোনাপুর–কবিরহাট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ।
সড়কে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরে নেয়াজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সুধারাম মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীর দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নেয়াজপুর ও অশ্বদিয়া ইউনিয়নকে নোয়াখালী-৪ আসন থেকে বাদ দেওয়া হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তাঁরা দাবি করেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্বিন্যাসে “অখণ্ড প্রশাসনিক ইউনিট” রক্ষার নীতিমালা অনুসরণ করবে বললেও এই দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে সেই নীতিমালা মানা হয়নি।
সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সলিম উল্যাহ বাহার হিরণ, সদর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসিম, জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল মোতালেব আপেল, নেয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন বাবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন আলো, জেলা জাস্টিস ফর জুলাইয়ের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত, অশ্বদিয়া নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা সেলিম, অশ্বদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হাসান মাহমুদ তানসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন সায়েম, অশ্বদিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন রিয়েল এবং নোয়াখালী শহর জামায়াত নেতা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
ইএইচ