গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিকাশ এজন্ট ও ব্যাবস্যায়ী জামায়াত নেতা নজরুল ইসলামের (৩৫) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রামের বাগুরার বিলের ধারে তাঁর লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত নজরুল ইসলাম (৩৫) নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রাম ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গ সংগঠনের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। তিনি উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতল গ্রামের মৃত তোফজ্জল ইসলামের ছেলে।
পরিবারের লোকজন জানায়, নজরুল ইসলাম শীতল গ্রাম বাজারে একটি মনোহারী দোকানের পাশাপাশি বিকাশের ব্যবসা করতেন। তিনি মাঝে মধ্যই দোকানেই রাত কাটাতে। পরিবারের লোকজন মনে করছেন শনিবার রাতে দোকানদারি শেষ করে তিনি ওখানেই ঘুমাইছেন।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার সকালে হাঁটাহাঁটি করার করা সময় লোকজন বিলের ধারে রাস্তার পার্শ্বে এক ব্যক্তিকে শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান। পরে সেখানে গিয়ে দেখেন গলাকাটা একটি মরদেহ পরে আছে। পরে নিহতের পরিবার ও পুলিশকে তাঁরা খবর দেয়।
নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ নাজিরুল ইসলাম বলেন, আমি ভাই বিকাশে ব্যবসা করতেন। অনেক সময় অনলাইন জুয়ারু ও হ্যাকাররা অবৈধভাবে টাকা তুলতে আসত। তিনি এসব কাজে রাজি ছিলেন না। বেশ কয়েকদিন হলে তাঁরা আমার ভাইকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। এরই জেরেই আমার ভাইকে গত রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার সময় গলাকেটে হত্যা করছেন।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় অনলাইন জুয়ারু ও হ্যাকারদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করলেই আমার ভাইয়ের হত্যার সাথে কারা জড়িত ছিল সহজেই বের হয়ে আসবে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বলেন, নজরুল ইসলাম সংগঠনের জন্য একজন নিবেদিত কর্মী ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বুলবুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতারে মাঠে পুলিশ নেমেছেন।
জেএইচআর