অনশন শেষে প্রবাসীর স্ত্রীকে স্বীকৃতি, ইউএনওর ন্যায়বিচারে সমাধান

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০৫:১৬ পিএম

নাটোরের গুরুদাসপুরে এক প্রবাসীর স্ত্রী তাসলিমা খাতুন (শাবনুর) অবশেষে স্বামীর স্বীকৃতি পেয়েছেন। এটি সম্ভব হয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজের ন্যায়সংগত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে। শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা হয়েছে দাম্পত্য সংকটটি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার যোগীন্দ্র নগর গ্রামের জিহাদ আলীর ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী ওয়াজেদ আলী (৩০) এক বছর আগে একই গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেকের মেয়ে তাসলিমা খাতুন শাবনুরকে গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ওয়াজেদ আলী প্রতিশ্রুতি দেন দেশে ফিরে সামাজিকভাবে বিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে স্ত্রীর মর্যাদা দেবেন।

তবে বিদেশে চলে যাওয়ার পর বর ও তার পরিবার মোটা অঙ্কের যৌতুক দাবি করেন। 

অভিযোগ রয়েছে, ওয়াজেদ আলী অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার অজুহাতে ১০ লাখ টাকা যৌতুক এবং শ্বশুর জিহাদ আলী ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। যৌতুক না দেওয়ায় শাবনুরের সঙ্গে বর ও তার পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে শ্বশুর তার বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধরের চেষ্টা করেন এবং বাড়ি থেকে বের করে দেন।

পরিস্থিতির অবনতি হলে শাবনুর গেটের সামনে বসে অনশন শুরু করেন। বিষয়টি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হলে প্রশাসনের নজরে আসে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিম লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ইউএনও বরাবর। এরপর মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় ইউএনও ফাহমিদা আফরোজ উভয় পক্ষকে তলব করেন। কাবিননামা যাচাই ও বিয়ের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি দুই পরিবারের উপস্থিতিতে তাসলিমা খাতুনকে স্বামীর স্বীকৃতি দেন এবং শশুর জিহাদ আলীর হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এ মানবিক সমাধানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ইউএনওর বিচক্ষণ ভূমিকার কারণে একটি পরিবার ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

ইএইচ