চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার জট কমাতে এনবিআরের নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে সক্ষমতা তৈরি করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাসের একমাত্র ট্যালেন্ট চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।
কিছু জট সৃষ্টি হলেও আমদানি রপ্তানিতে কোন প্রভাব পড়তে দেন নাই চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান। আমদানি রপ্তানি করকরা বলছেন, বন্দর চেয়ারম্যানের দক্ষ নেতৃত্বে কারণে আজ আমাদের উপর কোন প্রভাব পড়ে নাই। আগের চেয়ে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ায় অপারেশনাল কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কনটেইনার খালাস স্বাভাবিক রয়েছে। সক্ষমতা বাড়ায় বর্তমানে কনটেইনার জটের মতো কোনো জটিলতা বন্দরে নেই।
মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্দরের অভ্যন্তরে মোট ৪৮ হাজার ৭৫১ টিইইউস কনটেইনার জমা হয়েছে। যার মধ্যে খালি কনটেইনারের সংখ্যা ৬ হাজার ৬৪৭ টিইইউস।
এর আগে গত রোববার রেকর্ড ৪৯ হাজার ১৩১ টিইইউস কনটেইনার জমা হয় বন্দরে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দিন গত ১ জুলাই বন্দরে কনটেইনারের সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার ৩৭৫ টিইইউস। তবে বর্তমানে বেসরকারি ডিপোগুলোতে কোনো কনটেইনার জটিলতা নেই।কনটেইনার হ্যান্ডলিংও বেড়েছে।
বন্দরে অতীতের চেয়ে কনটেইনার রাখার সক্ষমতা আগের চেয়ে ৬ হাজার টিইইউসের মতো বেড়েছে।বন্দরের অপারেশাল কার্যক্রমে কোনো বাধা বিপত্তি ঘটছে না। এদিকে এনবিআরের নির্দেশনাগুলো অফডক মালিক, আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্টকে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের অন্যতম সহায়ক হিসেবে কাজ করে ১৯টি বেসরকারি অফডক, যারা চট্টগ্রাম বন্দরের শতভাগ রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে থাকে। এর পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ খালি কনটেইনার সংরক্ষণের মাধ্যমে তারা বন্দরের ওপর চাপ কমিয়ে আনে।
সম্প্রতি এই অফডকগুলোকে ৩৮ ধরনের আমদানি পণ্যের পর আরো ২৭টি বাড়িয়ে মোট ৬৫ ধরনের পণ্য হ্যান্ডলিং করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই পণ্যগুলো সরাসরি অফডকে স্থানান্তরিত হয়, যেখানে আনস্টাফিং ও ডেলিভারির কাজ সম্পন্ন হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের মুখপাত্র ও সচিব ওমর ফারক বলেন, আমাদের সক্ষমতা প্রায় ৫৯ হাজার টিইইউসের মতো। যে কারণে বন্দরে এখন যে পরিমাণ কনটেইনার রয়েছে, তাতে অপারেশনাল কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কনটেইনার খালাস স্বাভাবিক রয়েছে।
বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনার রাখার সক্ষমতা রয়েছে ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউস। গত ২৪ ঘণ্টায় বন্দর অভ্যন্তরে ৯৬৪৪ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি ও বহির্নোঙর মিলে পণ্য ও কনটেইনারবাহী ৮৬ টি জাহাজ বর্তমানে অবস্থান করছে। এরমধ্যে ৭৪টি জাহাজ থেকে বাল্ক পণ্য কনটেইনার খালাস চলছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাহাজ থেকে ৪৫৮৯ টিইইউস কনটেইনার বন্দরে নেমেছে, ঢাকা আইসিডি (ইংল্যান্ড কনটেইনার ডিপো) থেকে এসেছে ৬১ টিইইউস। অফডকগুলো থেকে রপ্তানিপণ্য ভর্তি কনটেইনার এসেছে ২৪১৯ টিইইউস এবং খালি কনটেইনার এসেছে ১১৪৩ টিইইউস।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০৫৫ টিইইউস কনটেইনার জাহাজীকরণ হয়েছে। ৬৩ টিইইউস কনটেইনার ঢাকা আইসিডিতে পাঠানো হয়েছে। অফডকগুলোতে আমদানিণ্য ভর্তি কনটেইনার পাঠানো হয়েছে ৯৫১ টিইইউস। বন্দর থেকে ৯০৪ টিইইউস খালি কনটেইনার অফডকগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
পাশাপাশি ১৪৩০ টিইইউস আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার অনচেচিজ সরাসরি আমদানিকারকদের ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তর থেকে ১৮৭৩ টিইইউস কনটেইনার পণ্য খালাস দেওয়া হয়েছে।
জেএইচআর