স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ একাধিক দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ফেনী ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী উভয় লেনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের উত্তর দিকের অংশে অবস্থান নেন তারা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, স্থায়ী ক্যাম্পাস, ট্রান্সপোর্টের জন্য বাস সার্ভিস, ইউনিভার্সিটির জন্য যোগ্য, আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভিসি, রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ ও বিওটি চেয়ারম্যান পরিবর্তন করে আন্তরিক ও দায়িত্বশীল কাউকে নিয়োগ দেওয়াসহ একাধিক দাবিতে আন্দোলনকারীরা শহরের হাজারি রোড হয়ে একটি পদযাত্রা নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেন তারা।
গত সোমবার থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন ফেনী ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এর আগে ২১ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ফেনী ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম জামাল উদ্দিন আহমদ পদত্যাগ করেছেন। ২০ আগস্ট রাতে ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। আজ সকালে গণমাধ্যমকে নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বা কোনো চাপ নেই।’
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পরে ছাত্রদের দাবির বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানাতে তারা মহাসড়ক ছেড়ে গেছে। এখন ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
গত বছর ১৩ আগস্ট শিক্ষার্থীরা ইউনিভার্সিটির উন্নয়নে ১৫ দাবি পেশ করেছিলেন। কর্তৃপক্ষ দাবি মানার আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ২১ অক্টোবর ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এতে পুরো ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরবর্তীতে আবারও আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে পরিবর্তন হয়নি। সর্বশেষ ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পুনরায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
জেএইচআর