দ্রুতই অন্ধকার থেকে আলোতে আসবে পুঁজিবাজার

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩, ০৬:৩৯ পিএম

খুব শিগগিরই অন্ধকার পেরিয়ে আলোর দিকে উঠে আসবে দেশের পুঁজিবাজার, এমনটা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়্যাতুল ইসলাম। তিনি বুধবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কার্যালয়ে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডের (এটিবি) লেনদেন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। 

ডিএসই চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার, প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক উজমা চৌধুরী এবং লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের পরিচালক মাহাবুবুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারে একটা সমস্যা চলছে। ছোট ছোট অনেক কমপোনেন্ট আছে যেগুলো মার্কেট ঘুরে দাঁড়াতে বড় ভূমিকা রাখে। আমরা দেখেছি ট্রেন যখন কোন টানেলে প্রবেশ করে তখন চারদিকে অন্ধকার থাকে। কিন্তু টানেল থেকে বের হলেই আলো দেখা যায়। তেমনি দেশের পুঁজিবাজারও খুব শিগগিরই অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাবে।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত বলেন, এতোদিন আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীরা একটি বদ্ধ কক্ষে ছিলেন। তাদের কোন সেফ এক্সিট ছিল না। ক্যাপিটাল মার্কেটে এক্সিট প্ল্যান না থাকলে কেউ আসবে না। উন্নত দেশগুলোতে এই ব্যবস্থা আছে। এটা অনেকটা ইন্স্যুরেন্সের মতো। 

এর মাধ্যমে ব্যবসায়িরা তাদের বিজনেস এক্সপান্ড করবে, কর্মসংস্থান হবে, দেশের রেভিনিউ বাড়বে, প্রবৃদ্ধি হবে। ডিএসই আজকে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিচ্ছে। অনেকে বলতে পারেন আমরা এই মুহুর্তে এটা কেন করছি, আসলে এটা আরো আগে করা দরকার ছিল। এখন যে পদক্ষেপগুলো নেয়া হচ্ছে তা মার্কেটে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখবে।

এটিবি’র উদ্বোধনকালে ডিএসই’র সাথে প্রাণ এগ্রো লিমিটেড এবং লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের পৃথক দুটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এটিবি নিয়ে চুক্তিপত্রের একটিতে ডিএসইর ডিজিএম সাইয়িদ মাহমুদ জুবায়ের ও প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক উজমা চৌধুরী এবং অপরটিতে ডিএসইর ডিজিএম শফিকুল ইসলাম ভুইয়া ও লংকাবাংলার সিকিউরিটিজের এমডি নাছির উদ্দিন চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফারুকসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা।

উল্লেখ্য, ব্যবসায় মূলধন প্রাপ্তি ও শেয়ারের মালিকানা পরিবর্তন সহজ করতে এটিবি চালু করেছে ডিএসই। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা যেকোনো কোম্পানি এটিবিতে সরাসরি তালিকাভুক্ত হয়ে শেয়ার লেনদেন করতে পারবে। পাশাপাশি অতালিকাভুক্ত ও তালিকাচ্যুত সিকিউরিটিজসহ করপোরেট বন্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড, বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড এটিবিতে তালিকাভুক্ত হতে পারবে। এই মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করতে পারবে।

এই মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে কোনো ন্যূনতম মূলধনি সীমা বেঁধে দেয়া হয়নি। যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহে (আরজেএসসি) নিবন্ধিত যেকোনো অতালিকাভুক্ত কোম্পানি এখানে শেয়ার লেনদেনের সুযোগ পাবে। তবে এক্ষেত্রে মূলধন বাড়ানোর সুযোগ থাকবে না। বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনার ক্ষেত্রে ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে এখানে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বছরে একবার মূল্যসংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

টিএইচ