জেনিথ ইসলামী লাইফের টার্ম ইন্স্যুরেন্স চালু

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৩, ০৪:১৮ পিএম

জীবনের নিরাপত্তাসহ নানা কারণে শঙ্কিত থাকে মানুষ। দুর্ঘটনা এড়িয়ে স্বাচ্ছন্দের জীবন সবার প্রত্যাশা। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা কখনো কখনো স্বাভাবিক জীবনকে দুর্বিসহ করে তোলে। তখন আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি সবার আগে সামনে আসে। দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তির যদি সঞ্চয় না থাকে তাহলে দুশ্চিন্তার অন্ত থাকে না।

তবে এই অবস্থা থেকে উত্তরণ দিতে পারে বীমা। নির্দিষ্ট মেয়াদে প্রিমিয়াম জমা দিয়ে দুর্ঘটনা, অসুস্থতাসহ নানা বিপদে ‘বন্ধু’ হয়ে দাঁড়াতে পারে বীমা।

বীমা কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ধরনের পলিসি বিক্রি করে। তবে চতুর্থ প্রজন্মের বীমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড চালু করেছে নতুন একটি টার্ম ইন্স্যুরেন্স- ‘সিঙ্গেল প্রিমিয়াম ব্যক্তিগত দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুবীমা’।

তিন বছরের জন্য মাত্র দুই হাজার ৯৭৫ টাকায় এবং ৫ বছরের জন্য মাত্র ৪ হাজার ৬২৫ টাকা একককালীন প্রদানে নানা সুবিধা দিচ্ছে কোম্পানিটি।

কোম্পানির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই পলিসির আওতায় গ্রাহকের স্বাভাবিক মৃত্যুতে ৫০ হাজার টাকা, দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা, দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে ৩০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে আগুনে পোড়া গেলে ২২ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করা হবে।

এছাড়া বুকে আঘাত প্রাপ্ত হলে ১৫ হাজার টাকা, হাড় ফাটল, স্থানচ্যুতি বা আঁছড় লাগলে ৭ হাজার ৫০০ টাকা, প্রথম পর্যায়ে আগুনে পোড়া গেলে ৩ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।

দুর্ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তিজনিত চিকিৎসা সুবিধাও মিলবে। প্রতি ঘটনায় সর্বোচ্চ ৩ দিন হাসপাতাল ভাতা ৯ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। বছরে একাধিক দুর্ঘটনাজনিত ঘটনায় সর্বোচ্চ ১০ দিন হাসপাতাল ভাতা ৩০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। মারাত্বক অস্ত্রপচারের জন্য ৩০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। বছরে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।

তবে নির্ধারিত রোগে প্রথম বছর মারা গেলে মুত্যুজনিত ক্ষতি পূরণ পাওয়া যাবে না। এইডস, আত্মহত্যা, অপঘাত বা অবৈধ কর্মকাণ্ডজনিত মৃত্যু এই প্ল্যানের আওতার বাইরে থাকবে।

প্রথমবছর প্রিমিয়ামের ১৫ শতাংশ কর রেয়াত পাওয়া যাবে। এছাড়াও জেনিথ হেলথ কার্ডের মাধ্যমে ১০০-এর অধিক হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ১০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট সুবিধা পাওয়া যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত বীমা গ্রাহকের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৬২ বছর।

এআরএস