দাম কমেনি মাংসের, ঊর্ধ্বমুখী সবজি বাজার

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৩, ০৩:৫১ পিএম

ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগি, গরুর মাংস ও চিনির দাম এখনো কমেনি। বরং ঈদের পরের কয়েক দিনে নতুন করে বেড়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। পাশাপাশি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে নানা পদের সবজির দামও।

শুক্রবার রাজধানীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

এখন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৬০ টাকা দরে। যা ঈদের আগে বেড়েছিল। এরমধ্যে কয়েকদিন ৫-১০ টাকা ওঠানামা করেছে, তবে মোটাদাগে দাম এখনো আগের মতো বাড়তি রয়েছে।

এদিকে ঈদের এক সপ্তাহ আগে গরুর মাংসের দাম সাড়ে ৭০০ থেকে বেড়ে ৮০০ টাকায় ঠেকেছে। এখন চাহিদা কমলেও কমেনি দাম। বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।

অন্যদিকে ঈদের আগে থেকে চলমান চিনির সংকট এখনো কাটেনি। চাহিদা স্বাভাবিক হয়ে এলেও এখনো সরকার নির্ধারিত থেকে বেশি দামেও কিনতে হচ্ছে পণ্যটি। যেসব দোকানে খোলা চিনি পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়।

যদিও ৬ এপ্রিল সরকার প্যাকেট চিনির কেজি ১০৯ টাকা, আর খোলা চিনির কেজি ১০৪ টাকা ঠিক করে দিয়েছিল। দাম প্রসঙ্গে খুচরা দোকানিরা জানিয়েছেন, ঈদের আগ থেকে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন পরিবেশকরা। এখন (ঈদের পর) অন্যান্য পণ্যের অর্ডার নিলেও চিনির কোনো খবর জানাচ্ছেন না। বেশির ভাগ দোকানে যে চিনি বিক্রি হচ্ছে তা ঈদের আগে কেনা।

আবার চিনি কিনতে হলে দোকানদারকে বাধ্যতামূলক আরও কয়েকটি পণ্য কেনার শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন পরিবেশকরা এমনটিও জানিয়েছেন মালিবাগ বাজারের কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা।

অন্যদিকে ঈদের পরে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় ৩৬ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে। আর আলুর দাম ৫-৭ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে।

আলু পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ শেষে আমদানি ও পাইকারি বাজারের কার্যক্রম স্বাভাবিক না হওয়ায় আড়তে মালের সংকট রয়েছে। আবার সব দোকান না খোলায় পাইকারও কম। সেজন্য পণ্যের দাম বাড়ছে।

তবে আমদানি পর্যায়ে কোনো সমস্যা নেই বলেও তারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে উৎপাদন ভালো থাকায় আগামী কোরবানির ঈদসহ পরবর্তী সময় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও বাজারে কোনো সমস্যা হবে না বলে দাবি করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।

এদিকে সবজির বাজারে এখনো আলু পেঁপে ছাড়া ৬০ টাকার নিচে কিছু মিলছে না।

আরএস