পিআরআই

বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে রাজস্ব আয় বাড়ানোর বিকল্প নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৪, ০৭:৪২ পিএম

উচ্চ আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সরকারি বিনিয়োগের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এজন্য রাজস্ব আয় বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে মনে করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিআরআই। 

বুধবার (২৭ মার্চ) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, জিডিপির ২ ভাগ ব্যক্তি-আয়কর বাড়ানো গেলে প্রবৃদ্ধি বাড়বে দশমিক ৫ ভাগ। আগামী বাজেটে রাজস্ব প্রশাসনে বড় সংস্কার শুরুর পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

জিডিপির অনুপাতে সরকারি বিনিয়োগের বৈশ্বিক গড় ৩৫ দশমিক ২২ ভাগ। উচ্চ আয়ের দেশে যা প্রায় ৫৩, মধ্য আয়ের দেশে সাড়ে ৩৬ এবং নিম্ন আয়ের দেশে সরকারি বিনিয়োগ জিডিপির ২১ শতাংশের বেশি। কিন্তু বাংলাদেশে এই বিনিয়োগ ১৫ শতাংশের ঘরে। যার ৬ শতাংশই আসে দেশি-বিদেশি ঋণে।

রাজস্ব আদায়ে ভারত, নেপাল, শ্রীলংকার চেয়েও অনেক পিছিয়ে থাকায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তার মত গুরুত্বপূর্ণ খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করতে পারেনা সরকার। গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

পিআরআইয়ের গবেষণা পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সরকারি ব্যয় হচ্ছে আমাদের জিডিপির অনুপাতে ১৩ থেকে ১৪ ভাগ পর্যন্ত। আপনারা যদি উন্নয়নশীল বিশ্বের দিকে দেখেন সেখানে সরকার কতখানি ব্যায় করে, পাবলিক অ্যাক্সপেনডিচারের সাইজ কত। সেটা আপনি দেখবেন জিডিপির ২৪ থেকে ২৫ ভাগের মতো।’

গবেষকরা বলছেন, করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করলে কয়েক বছরের মধ্যে ৬৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব বাড়বে। করছাড় আর প্রণোদনা কমালে আগামী অর্থ বছরই আয় বাড়বে ৩০ হাজার কোটি টাকা।

পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘দিস ইজ অ্যা লো হ্যাঙ্গিং ফ্রুট। এটা থেকে খুব জলদি ২০ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত সরকার আগামী তিন বছর এটা থেকে আপগ্রেটেড হতে পারে। তার মধ্যে এখন যদি সংস্কার কার্যক্রম শুরু করে তাহলে তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ওই রেজাল্টটাও পাবে। দ্যাট উড বি দ্যা প্যাকেজ।’

আলোচকরা বলেন, স্থানীয় শিল্প সুরক্ষার নামে অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনার পথে বড় অন্তরায়। এই শুল্কহার যৌক্তিক করার পরামর্শ দেন তারা।

আরএ