১০ লাখ টন ডাল-চিনি আমদানির অনুমতি দিল সরকার

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ১০:৫৪ এএম

স্থানীয় বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত এবং দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার বেসরকারি পর্যায়ে মসুর ডাল ও চিনি আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এই উদ্যোগের আওতায় মোট ৫ লাখ টন মসুর ডাল ও ৫ লাখ টন চিনি আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এই পণ্যগুলোর আমদানির জন্য সিনকস অটোমেশন টেকনোলজি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মসুর ডাল ও চিনি উভয়ই অবাধে আমদানিযোগ্য পণ্য। বিদ্যমান আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুযায়ী বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এলসির মাধ্যমে এই পণ্যগুলি আমদানি করা সম্ভব।

বাংলাদেশের মসুর ডালের বার্ষিক আমদানি প্রায় ৭০৪.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরে ৯১৩.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এতে মোট আমদানির পরিমাণ ৩৪.৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, চিনির আমদানির পরিমাণ ১,১৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে ১,০৪৬.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ৪.৫% হ্রাস পেয়েছে।


এই আমদানির ফলে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগটি স্থানীয় বাজারে সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

যদিও সরকার বেসরকারি আমদানির অনুমতি দিয়েছে, তবে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। বিশেষ করে, স্থানীয় শর্করা রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে, যার ফলে বাজারে চিনির সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এছাড়া, অবৈধ চিনির আমদানি ও সীমান্তে চোরাচালানও একটি বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

জেএইচআর