মন্ত্রীর সঙ্গে কে ফুল এগিয়ে দেবেন তা নিয়ে শিক্ষকদের বাকবিতণ্ডা

আব্দুল কাইয়ুম প্রকাশিত: মে ১০, ২০২২, ০৯:৪৭ পিএম

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস এর দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনির সঙ্গে কে ফুল এগিয়ে দিবেন তা নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দুই অংশ।

মঙ্গলবার (১০ মে) সন্ধ্যা ৬টার পর প্রশাসনিক ভবনের নীচে মহড়া হিসেবে ফুল দিতে যাওয়া রেজোয়ান আহমেদ শুভ্র ও উজ্জ্বল কুমার প্রধানকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষকদের আরেকটি অংশ। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া বক্তব্য অনুযায়ী, প্রভাষক হিসেবে সদ্য যোগ দেয়া নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জুয়েল মোল্লা ক্ষেপে গিয়ে ফুল দেয়া শিক্ষকদের নিয়ে মন্তব্য করেন। সেই মন্তব্যের জেড় ধরে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে ফুল দেয়ার অংশের শিক্ষকরা। 

আরো জানা যায়, যারা ফুল দিচ্ছিলো তারা বিএনপি জামাতের ছায়ায় চলে। তবে এমন মন্তব্য করেননি বলে জানান শিক্ষক জোয়েল মোল্লা। তবে গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে ফুল দেয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে অন্য দুই শিক্ষককে নিয়ে মন্তব্য করার কথার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। 

জুয়েল মোল্লা বলেন, শিক্ষক হতে হলে বুকে রাজনৈতিক ছাপ থাকতে হবে নতুবা শিক্ষক হিসেবে তার অবস্থান থাকে না। আমি সেই জায়গা থেকেই কথা বলেছি। শিক্ষামন্ত্রী আওয়ামী লীগের নেতা অবশ্যই তার সামনে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। 

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তুহিনুর রহমান (তুহিন অবন্ত) জুয়েল মোল্লার ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, প্রক্টর সহ সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে একজন নব্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের এমন আচরণ ঠিক হয়নি। যে উদ্ধত ব্যবহার করেছেন জুয়েল মোল্লা তা শিক্ষক সুলভ নয়। তাকে নিয়ে এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। অনুষ্ঠান ভালো ভাবে সম্পন্নের পর এই নিয়ে আমরা কাজ করবো। 

মানবসম্পদ বিভাগের শিক্ষক রিমন সরকার বলেন, যার নামে শিক্ষার্থী সময়ে চাদাবাজীর অভিযোগ রয়েছে তার থেকে সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে এমন ব্যবহার অস্বাভাবিক নয়।তবে শিক্ষক পেশার সঙ্গে এমন ব্যবহার যায়নি।তার নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েও বিভিন্ন সমালোচনা রয়েছে।এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করি। 

প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধানকে নিয়েই তর্কের শুরু করেন। প্রক্টর নিজেও আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু নীল দলের সভাপতি।

তবে উপস্থিত শিক্ষকরা জুয়েল মোল্লার ঘটনাকে নিন্দা জানিয়েছে।

এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান।

উপাচার্যের সামনে এমন ঘটনায় বিচলিত শিক্ষকরাও। তবে উপাচার্য উভয়পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলেও জানা গেছে।