সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ১৬ শিক্ষার্থীর বুয়েটে ভর্তির সুযোগ 

নীলফামারী প্রতিনিধি  প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২২, ১২:৩০ পিএম

চলিতি বছর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদালয়ের (বুয়েট) ২০২১-২২ সেশনের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় চুড়ান্ত ফলাফলে নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ১৬ শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। 

এর মধ্যে মেধা তালিকায় একজন ৫ম স্থান অধিকার করেছে। এছাড়াও ওয়েটিং লিস্টে রয়েছে আরো অনেক শিক্ষাথী। এছাড়াও মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ৩৯ জন্ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। 

কলেজসুত্রে জানাগেছে, চলতি বছর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ২৬৮ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২৪৯ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেডিকেলে ৩৯ জন ও বুয়েটে ১৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

বুয়েটের ২০২১-২২ ব্যাচের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর বিষয়টি জানা গেছে। বুয়েটের মেধা তালিকায় ৫ম স্থান অধিকার করেছেন নীলফামারীর ছেলে নাহিদ হোসেন রিদম। সে ৫ম হয়ে সিএসই বিভাগে চ্যান্স পেয়েছে। বিষয়টি জানিয়েছেন সৈয়দপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক।

বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পাওয়া সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নাহিদ হোসেন রিদম ৫ম স্থান করে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে, সঞ্জয় কুমার  ১৬১তম হয়ে তড়িৎ ও বৈদ্যুতিন বিভাগে, ইমন ৪৪৪তম হয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে, রোমান ৫২৬তম হয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে, আবু সায়েম ৫৩০তম হয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে, আরীফ শাহরিয়ার সজীব ৫৭০তম হয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে, তাহমিদ তনয় ৬৩৯ তম হয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।

মাহমুদুল ৬৪০ তম হয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ,মাহবুব ৭৬২ তম হয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, গোলাম আজম ৭৬৬ তম হয়ে শিল্প ও উৎপাদন, নবদ্বীপ রায় ৮০৮তম হয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিয়াম মাহিম ৯৫০তম হয়ে শিল্প ও উৎপাদন, সুদীপ্ত রায় কেলভিন ৯৮৯তম হয়ে বেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, এম,এ,এইচ কে লাবিব ১০৮৬তম হয়ে বস্তু ও ধাতব ইঞ্জিনিয়ারিং, জাকিয়া সুলতানা জীম ১২০৩তম এবং সাফিন ১১১৬তম স্থান অধিকার করে নেভাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির সুয়োগ পেয়েছেন।।

এই কলেজ থেকে প্রতি বছর উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বুয়েট, মেডিকেল, আইইউটি, ডেন্টালসহ নামকরা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকেন। 

মেধা তালিকায় ৫ম স্থান অধিকারকারী রিদম জানান, তার এই সাফল্যে তার মা-বাবার অবদান সব থেকে বেশি। ভালো কিছু করার বাসনা থেকেই আমি এতদুর আসতে পেরেছি। তবে পরীক্ষা আশানুরুপ না হওয়ায় কিছুটা ভয় ছিল। তবে উত্তরগুলো সঠিক হওয়ায় আমার এই ফলফল হয়েছে। 

৭৬২তম মেধাতালিকায় নাম থাকা মাহবুব ইসলাম জানান, ছোটবেলা থেকেই আমার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার ইচ্ছা ছিল। পরীক্ষা কিছুটা খারাপ হওয়ায় ভেঙে পরেছিলাম তবে আল্লাহর ইচ্ছায় আমার মনের আশা পুরন হয়েছে।

সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রতি বছরেই যখন এই কলেজের কোন শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল করে তখন নিজেকে খুব গর্বিত মনে হয়। এই কলেজে মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে।  কলেজের শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও শিক্ষাথীদের প্রচেষ্টার কারনে সব সময় ভালো ফলাফল করে শিক্ষাথীরা। 

কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক এরশাদ মন্ডল জানান, করোনার সময় ক্লাস বন্ধ থাকলেও অনলাইনের মাধ্যমে আমরা প্রতি নিয়ত তাদের ক্লাস নিয়েছি। 

সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক বলেন, বরাবরই এই কলেজের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করে আসছে। তারা বুয়েট, মেডিকেলসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধার স্বাক্ষর রাখেন।

গত বছর এখান থেকে ১১ জন বুয়েটে চ্যান্স পেলেও এবার ১৬জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। ১৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন ছাত্রী রয়েছে। তাছাড়া মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ৩৯ জন। তাদের এই সাফল্যে আমাদের কলেজের সকলেই গর্বিত।   


আমারসংবাদ/টি এইচ