ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দিলো ঢাবি শিক্ষার্থীরা

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২২, ০৬:১০ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ( ঢাবি ) নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রোববার ( ৪ ডিসেম্বর ) বিকাল ৩ঃ৩০ মিনিটে এই স্মারকলিপি প্রদান করে ঢাবির প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এর আগে বেলা এগারোটায় টিএসসির করাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা।

স্মারকলিপি প্রাদানকালে ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, তোমাদের দাবি এবং আমাদের দাবি একই। আমরা সবাই একটি সুন্দর, নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই। আমরা কাজ শুরু করেছি। মেয়রের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। ইতিমধ্যে ফাড়িতে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ১ম ও ২য় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের আইডি কার্ড দেয়া, স্টিকার বিহীন যান চলাচল বন্ধ, স্পিড ব্রেকার সহ অন্য দাবিগুলো যতদ্রুত সম্ভব বাস্তবায়নেরও আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

এসময় শিক্ষার্থীরা টিএসসি মোড়ে মানব ব্যারিকেড তৈরি করে এম্বুলেন্স ব্যাতিত সকল বহিরাগত যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। তাছাড়া সকল ভাসমান দোকানও তুলে দেন তারা।

দাবি বাস্তবায়নে আল্টিমেটাম দিয়ে আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আনিকা তাহসিনা বলেন, যদি আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের স্বপক্ষে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে ১১ ডিসেম্বর থেকে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি নিয়ে দিতে বাধ্য হব।

স্মারকলিপিতে উত্থাপিত  ১১ দফা দাবিসমূহ-

১। বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ, শব্দ দূষণ  প্রতিরোধে ব্যবস্থা ও শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা।
২।  রুবিনা আক্তার হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ সমর্থন ও সহযোগিতা আদায় করা।
৩। ক্যাম্পাসে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণের লক্ষে প্রধান প্রবেশদ্বারগুলোতে দ্রুত চেকপোস্ট বসানো ও গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা।
৪। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুধুমাত্র নিবন্ধিত রিক্সা চলাচল এবং রিকশাচালকদের জন্য ইউনিফর্ম ও ভাড়ার চার্ট প্রস্তুত করা। 
৫। ভ্রাম্যমান দোকানের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ ও প্রশাসন কর্তৃক যথাযথ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত করা।
৬। প্রথম বর্ষ থেকে সকল শিক্ষার্থীর আইডি কার্ড প্রদান করা এবং ক্যাম্পাসের কিছু স্থানে  সংরক্ষিত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা।
৭। মাদকাসক্ত ও ভবঘুরে ব্যক্তিদের ক্যাম্পাস থেকে স্থায়ী উচ্ছেদ করা।
৮। সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসকে সিসিটিভির আওতায় আনা এবং ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা। 
৯। প্রক্টর অফিসে জমে থাকা সকল অভিযোগ নিষ্পত্তি করা।
১০।  নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার লক্ষে প্রক্টোরিয়াল অফিসের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
১১। নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিগুলো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা।

এআই