শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটির আগেই এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও উৎসব ভাতা (বোনাস) পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।
তিনি বলেন, “এপ্রিল মাসের বেতন এখনো বকেয়া রয়েছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার পর দ্রুত ঈদুল আজহার বোনাসের প্রস্তাব পাঠানো হবে এবং এরপর মে মাসের বেতন চাহিদা পাঠানো হবে।”
সম্প্রতি এক গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে মাউশি ডিজি আরও বলেন, “ঈদের ছুটি শুরুর আগেই শিক্ষক-কর্মচারীরা মে মাসের বেতন ও উৎসব ভাতার অর্থ পাবেন। তবে দুটি একসঙ্গে না-ও হতে পারে। আগে বোনাস ছাড় হতে পারে, পরে বেতনের অর্থ ছাড় হবে।”
এদিকে, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বোনাস বাড়ানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ফলে এবার থেকে শিক্ষকরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে উৎসব ভাতা পাবেন। তবে এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের বোনাসের হার আগের মতোই থাকবে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বর্তমানে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা পান। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনও সরকারি কোষাগার থেকে দেওয়া হলেও এতদিন তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে প্রদান করা হতো। ফলে শিক্ষকদের ভোগান্তির শিকার হতে হতো।
এই সমস্যা সমাধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ৫ অক্টোবর, বিশ্ব শিক্ষক দিবসে, ইএফটি পদ্ধতিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয়। প্রাথমিকভাবে ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী অক্টোবর মাসে ইএফটির মাধ্যমে বেতন পান। পরে জানুয়ারি মাসে ১ লাখ ৮৯ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ৬৭ হাজার, মার্চে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ৮ হাজার ২০০ জনের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী এই পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা পান।
তবে এখনো এপ্রিল মাসের বেতন বাকি রয়েছে। ইতোমধ্যে এর প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই তা ছাড় হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইএইচ