পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) সফর করেছেন দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
বুধবার বিকেলে পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা পরিদর্শন শেষে বরিশালে ফেরার পথে লেবুখালী দিয়ে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে তিনি পবিপ্রবিতে স্বল্প সময়ের জন্য সফর করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উচ্চশিক্ষার গুণগত মান, গবেষণা সম্প্রসারণ, প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ক্যাম্পাস সংস্কৃতি গড়ে তোলার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “এটি ছিল একটি অনন্য ও গৌরবময় মুহূর্ত। উপদেষ্টা মহোদয়ের উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁর পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতিতে নতুন দিক নির্দেশ করবে।”
সফরকালে উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, গবেষণাগার, গ্রন্থাগার, নির্মাণাধীন ১০ তলা ছাত্রীনিবাস, ছাত্রাবাস, ‘লাল কমল’ ও ‘নীল কমল’ লেক এবং চলমান অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম। তিনি ক্যাম্পাসের পরিচ্ছন্নতা, নির্মাণশৈলী ও প্রকল্প বাস্তবায়নের গুণগত মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বিশেষ আলোচনায় উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হতে যাওয়া ‘মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড ওসানোগ্রাফি’ বিভাগ। উপদেষ্টা এ উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলোর দুরবস্থার বিষয়ে উপাচার্য তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। গাইড ওয়াল না থাকায় যেকোনো সময় গাছ উপড়ে পড়ে রাস্তা ভেঙে যেতে পারে, যা শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যাহত করবে—এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে জরুরি অর্থ বরাদ্দের জন্য ইউজিসির মাধ্যমে তাঁর সহযোগিতা কামনা করা হয়।
সফরকালে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান, রেজিস্ট্রার ও আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, “এই অঞ্চল শিক্ষার বিস্তারে এক অপার সম্ভাবনার আধার। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও প্রশাসনিক সুশৃঙ্খলতায় আমি অভিভূত। প্রান্তিক বলেই কেউ পিছিয়ে থাকবে না—এই বিশ্বাসেই আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরও জোরদার করতে হবে।”
সফর শেষে উপদেষ্টার প্রশংসাসূচক মন্তব্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।
ইএইচ