এবার জয়ার পোশাক নিয়ে যা বললেন সিদ্দিক

বিনোদন ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২২, ০৪:১১ পিএম

বাংলাদেশের মিডিয়াপাড়ায় যেন একের পর এক নতুন আলোচনা-সমালোচনার ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত ১১ নভেম্বর ‘মিসেস বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানের পর অভিনেতা মীর সাব্বিরের উপর পোশাক নিয়ে কটাক্ষের অভিযোগ আনেন উপস্থাপিকা ‘ইসরাত পায়েল’।

এই ঘটনাটির রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নতুন পালক যুক্ত হলো। এবার এপার এবং ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানকে তার পোশাক নিয়ে ‘কটাক্ষ’ করে শালীনতা শেখাতে ফেসবুকে পোস্ট দিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান।

জয়া আহসানের ছবিতে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন ওমর সানী। ওমর সানীর মন্তব্যে মুগ্ধতা ছিল। জয়ার ছবি দেখে তিনি লিখেছিলেন, ‘ওয়াও’।

তবে আরেক অভিনেতা সিদ্দিক জয়া আহসানের একই ছবিতে নাখোশ।

তিনি এই ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শালীনতা ও অশ্লীলতার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। জয়া আহসানের সাম্প্রতিক সময়ের ফটোশুটের একটি ছবি পোস্ট করে সিদ্দিক তীব্র সমালোচনা করেন।

সিদ্দিক বলছেন, শালীনতা (ইংরেজি : ‘Modesty, উচ্চারণ : মডেস্টি) হলো পোশাক ও আচরণের ধরন, যার উদ্দেশ্য হল অপরকে শারীরিক বা যৌন আকর্ষণে উৎসাহিতকরণ থেকে বিরত থাকা। তবে এর মানদণ্ডের বিভিন্নতা ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হয়। ’

তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে, বলা যায় যে, শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ ঢেকে না রাখা অনৈতিক এবং অশালীন বলে বিবেচিত হয়। অনেক দেশে, নারীদের পূর্ণরূপে পোশাকে আবৃত রাখা হয়, যেন পুরুষেরা তাদের দ্বারা আকর্ষিত না হয়, এবং তাদের জন্য পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য পুরুষদের সাথে কথা বলা নিষিদ্ধ। আবার, যেখানে বিকিনি পরার প্রচলন স্বাভাবিক সেখানে এক টুকরো কাপড় পরাও শালীন বলে বিবেচিত হয়। ’

জয়া আহসানের পোস্ট করা ছবি দেখে সিদ্দিকের মন খারাপ হয়েছে। এমনটাই উল্লেখ করে এই অভিনেতা বলেন, ‘পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই লোকসম্মুখে নগ্নতাকে অভদ্র শরীর প্রদর্শন মনে করা হয়। 

মাঝে মাঝে কিছু ছবি আমার মনকে খারাপ করে দেয়। আমরা আসলে কী করতে চাই? আমাদের কী করা উচিত? সেটা নিয়ে আমাদের আরো বেশি বেশি করে ভাবতে হবে, তা না হলে সমাজ ও জাতি আমাদের কাছ থেকে কী পাবে বলুন?’

শিল্পী হিসেবে জাতির প্রতি দায়িত্ববোধ নিয়ে বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে জন্ম নিয়ে সমাজও জাতিকে যদি কোনো কিছু দিতে না পারি তাহলে বেঁচে থাকার সার্থকতা কোথায় বলুন? আল্লাহ পাক সবাইকে হেদায়েত করুন। ’

সিদ্দিকের এই পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, ‘শালীনতা বিষয়টাই আপেক্ষিক। এই ক্ষেত্রে অন্যের ব্যক্তিগত পোশাক নিয়ে অহেতুক সমালোচনা করাটাও অশালীন মানসিকতার পরিচয় বহন করে। আপনি অভিনয়কে পেশা হিসেবে নিয়ে কাজ করেছেন।

বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষ পাবেন, যারা নাটক-সিনেমা করাকে অশালীন, অশ্লীল বা পাপের কাজ মনে করে। সেই ক্ষেত্রে বহু মানুষের কাছে আপনার পরিচয়ও অশালীন মনে হবে। 

আপনার নারী কলিগদের মধ্যে যাদের সাথে কাজ করেছেন, তাদেরকেও ওড়না কেন বুকে নাই বা কেন ওয়েস্টার্ন পরা এই ফালতু অজুহাতে অশালীন বলতে পারে, সেই ক্ষেত্রে আপনিও অশালীনতার অংশ!’

টিএইচ