একটি গল্পের জন্য অপেক্ষা করছি- তিশা

মো. সোহাগ বিশ্বাস প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৩, ০৭:১৩ পিএম

একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং ও পরে ফটোশুট করার জন্য ঈদের আগে ও পরে দুবার ভারত গিয়েছিলেন এ প্রজন্মের জনপ্রিয় নাট্যাভিনেত্রী তানজিন তিশা। ফটোশুটের কাজ শেষ করেই গতকাল দেশে এসেছেন তিনি।
ইচ্ছা ছিল কাজ শেষে আরও কয়েকদিন থাকার। উদ্দেশ্য বেড়ানো। কিন্তু সেটা হয়নি। তড়িঘড়ি করেই দেশে ফিরেছেন। এর কারণ, গতকাল ছিল তার জন্মদিন। দিনটি পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে চেয়েছেন তিনি। তাই ভারতে কাজ শেষে বেড়ানোর পরিকল্পনা বাদ দিয়ে দেশে ফিরেছেন।
এ প্রসঙ্গে তানজিন তিশা বলেন, জন্মদিনের সময়টা আসলে পরিবারের কাছেই থাকতে চেয়েছি। যে কারণে কাজ শেষ করেই ঢাকায় চলে এসেছি। বিশেষত আম্মুর সঙ্গে জন্মদিনের সময়টা কাটাতে চেয়েছি।
গেল বছরটা তিশার নিজেরও মোটেও ভালো যায়নি। যাকে বলে শনির দশা। কাজে দীর্ঘ বিরতি নিয়েছিলেন। একসময় ভেবেছিলেন, হয়তো ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না। তবে কাজই আবার তাঁকে আলোচনায় এনেছে। এখন নিজের সেই চেনা পথে নিজের মতো করে হাঁটতে চান। তবে এবার তাঁর নীতি ‘ধীরে চলো’। তাই এখন গল্প, চরিত্রে আলাদা নজর দিচ্ছেন। গত কয়েক মাসে প্রচারিত হওয়া ‘নীল অপরাজিতা, ‘মেময়ার অব লাভ’, ‘ডিভোর্স’, ‘কঞ্জুস’, ‘প্রেম অল্প স্বল্প’, ‘অন্তহীনা’, ‘ওয়েডিং ডায়েরি’, ‘বক্স নম্বর থার্টিন’সহ একাধিক নাটক সে কথাই বলে।
ওটিটি বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে তাঁকে দেখা যায় না কেন? এ প্রশ্নের জবাবে হেসে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘জানেন, ভক্তদের কাছ থেকেও আমাকে সব সময় শুনতে হয়, “কেন আপনি ওটিটির কাজে যুক্ত হচ্ছেন না? 
ওটিটিতে আপনাকে দেখতে চাই।” সবার উদ্দেশেই বলতে চাই, আমি নিয়মিত ওটিটির গল্প পাই। কিন্তু এমন একটি গল্পের জন্য অপেক্ষা করছি, যেটায় আমি নিজেই শতভাগ খুশি থাকতে পারব। যে গল্প দেখে বলতে পারব, এটা আমার গল্প।
শুটিংয়ের ফাঁকে সময় পেলেই ঘুরতে বের হন তানজিন তিশা। আগে ঘোরাঘুরি ছিল শখ। এখন নেশার মতো। তিনি বলেন, ‘এখন এমন হয়েছে যে কাজের পর বিরতি না নিলে মনটাকে সজীব রাখতে পারি না। আমার কাজেও এটা প্রভাব ফেলে। আমি যখন সজীব হয়ে কাজে ফিরি, তখন আরও ভালো ভালো কাজ করতে পারি, ভালো অভিনয় করতে অনুপ্রেরণা দেয় ঘোরাঘুরি।

এ জন্য এখন কোনো শুটিং শেষ করেই ব্যাগ গোছাতে থাকেন তানজিন তিশা। কখনো পরিবার, কখনো বন্ধুদের সঙ্গে ছুটে যান দেশ–বিদেশের চেনা–অচেনা নানা জায়গায়। তিনি বলেন, ‘ভ্রমণটা আমাকে মানসিকভাবে স্বস্তি দেয়।
আরএস