ধর্ষণ মামলায় নোবেলের জামিন

বিনোদন ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম

ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন ঢাকার আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব শুনানি শেষে এক হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

কারাগারে বসে এই মামলার বাদীকে বিয়ে করার পাঁচ দিনের মাথায় জামিন পেলেন নোবেল।

এর আগে রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার আইনজীবী মো. খলিলুর রহমান জামিনের আবেদন করেন। এদিন বিচারক নোবেলের উপস্থিতিতে জামিন শুনানির জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। আজ নোবেল ও ভিকটিমের উপস্থিতিতে জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। নোবেল জামিন পেলে ভিকটিমের আপত্তি নেই বলে আদালতে জানান। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। 

জামিন আবেদনে বলা হয়েছে, মামলার আসামি নোবেল গত ২০ মে হতে জেল হাজতে আটক আছেন। যেহেতু বাদী ও আসামির মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হওয়ায় বাদী মামলাটি দায়ের করেছেন। বাদী ও আসামির মধ্যে শরীয়ত মোতাবেক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি অঙ্গীকারনামা দ্বারা স্বীকার করেছেন। বাদীর জিম্মায় আসামি জামিন পেলে বাদী কোন আপত্তি নাই। আসামি জামিন পাওয়ার পর বিবাহ রেজিস্ট্রি করে নেবেন।

এর আগে ১৮ জুন উভয়ের সম্মতি সাপেক্ষে তাদের বিয়ে সম্পাদন করে আদালতকে অবগত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় কারা কর্তৃপক্ষকে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে নোবেলের আইনজীবী একটি আবেদন করেন।

এর আগে গত ১৯ মে রাত ২টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে নোবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে বাসাবাড়িতে আটকে রেখে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর ডেমরা থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। পরদিন ২০ মে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়,  ২০১৮ সালে নোবেলের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাদীর পরিচয় হয়। এরপর বাদীর সাথে মোবাইল ফোনে প্রায় সময় কথা-বার্তা বলতো নোবেল। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে গায়ক নোবেল ও ইডেন কলেজের ওই ছাত্রীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর গত ১২ নভেম্বর স্টুডিও দেখানোর কথা বলে তাকে ডেমরার নিজ বাসায় ডেকে নেন নোবেল।

অভিযোগে বলা হয়, সেদিন নোবেল ও তার কয়েকজন সহযোগী ওই ছাত্রীকে সেখানে আটকে রাখেন এবং পরে ধর্ষণ করেন। এমনকি ওই ঘটনার ভিডিওও গোপনে ধারণ করা হয় বলে দাবি করেছেন বাদী।

অভিযোগ আরও রয়েছে, মেয়েটির মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তা ভেঙে ফেলা হয় এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সময় মারধর এবং শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

পরে ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে চিনতে পারে এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চায়। সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নোবেলকে গ্রেপ্তার করে এবং ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরদিন ডেমরা থানায় নোবেলের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা হয়।

আরএস